আদম মালেক | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 355 বার পঠিত
করোনা ভাইরাসের কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তার ওপর রয়েছে ৩ স্তরে ভ্যাট আরোপ। তাই অস্থিরতা বাড়ছে ভোজ্যতেলের বাজারে। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত এক মাসে লিটার প্রতি তেলের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
রাজধানীর কাওরান বাজার ও নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েলে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, যা ভোগান্তিতে ফেলেছে ভোক্তাদের।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী, দেশে তেলের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন দেশের তেল ব্যবসায়ীরা। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লিটারপ্রতি দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করাসহ তিন স্তরের ভ্যাটের পরিবর্তে এক স্তরের ভ্যাট নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে। চলতি মাসের শেষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
কারওয়ানবাজারের কিচেন মার্কেটের বিউটি স্টোরের ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসাইন বলেন, তেলের দাম কমছেই না। দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বেশি দামের কোম্পানির তেল ক্রেতারা কিনছেন না। দাম শুনলে ক্রেতারা উল্টো রেগে যাচ্ছেন। তাই তুলনামূলক কমদামের তেল রাখছি দোকানে। সেগুলোর বিক্রিও কমে গেছে
শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজার, সূত্রাপুর, রায়সাহেব বাজার, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোলা পাম ওয়েল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কাওরানবাজারে বোতলজাত ৫ লিটার রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টকার। গত সেপ্টেম্বর মাসেও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই তেল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। অর্থাৎ গত চার মাসে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৫ টাকা। বস্ন্ধুরা সয়াবিন বিক্রি ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।
অন্যদিকে খোলা পাম তেলের অবস্থাও একই রকম। গত সেপ্টেম্বরে খোলা সুপার পাম তেলে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। সেই হিসাবে গত চার মাসে সুপার পামের দাম বেড়েছে ৪৫ টাকা। আর গত চার মাসে সব ধরনের তেলের দাম বেড়েছে ৫৬ দশিমক ২৫ শতাংশ।
দেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ থেকে ২৩ লাখ টন। এ হিসাবে প্রতি মাসে চাহিদা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টন। কিন্তু রমজানে এই চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টন। কিন্তু এখন রমজানের সময় না কিংবা হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের চাহিদাও বাড়েনি। তাহলে কেন বাড়ছে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম? এ প্রশ্ন ভোক্তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সয়াবিন তেল আমদানি করে। কিন্তু আর্জেন্টিনায় দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্যতেল মিলগুলোতে শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি করা হয়। এই দুটি দেশে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে পাম অয়েলের মৌসুম শুরু হবে। কিন্তু দেশ দুটি আশঙ্কা করছে এ বছর তাদের পাম অয়েলের উৎপাদন কম হবে।
কাওরানবাজারের চৌধুরী জেনারেল স্টোরের মোশারফ চৌধুরী বলেন, ভোজ্যতেলের গায়ে আগুন। দিন দিন দাম বাড়ছে। বাড়তি দামে কিনে গ্রাহক ধরা কষ্টকর।
Posted ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |