নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপের এক কর্মচারীর নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পাবনা শাখায় ‘জামান সিন্ডিকেট’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান কাগজে-কলমে খুলে পরিকল্পিতভাবে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক হাজার ৪৫ কোটি টাকার বাই-মুরাবাহা টিআর বিনিয়োগ প্রস্তাবনা অনুমোদন ও সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৮ টাকা বিতরণ করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। পাশাপাশি অর্থের উৎস ও প্রকৃতি গোপন করতে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের আশ্রয় নেওয়া হয়।
মামলার প্রধান আসামিরা:
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- এস আলম গ্রুপের মালিক ও এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার ভাই এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের মালিক সহিদুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, শেয়ারহোল্ডার মো. আব্দুল্লাহ হাসান, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ ও চেয়ারম্যান শাহানা ফেরদৌস।
এছাড়া নাবিল গ্রুপের এমডি মো. আমিনুল ইসলাম, মেডিগ্রিন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এমডি মুবিন আহমেদ এবং জামান সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান রোকুনুজ্জামান মিঠুকেও আসামি করা হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারাও আসামি:
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির যেসব সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা মামলায় আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল মাওলা, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোহা. শাহজাহান, সাবেক এভিপি মো. আব্দুল আওয়াল, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোকলেসুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, এসইভিপি মো. আলতাফ হোসাইন, ডিএমডি এ এফ এম কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ড. তানভীর আহম্মদ, মো. কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম-কেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
Posted ৫:৪২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy