বিবিএ নিউজ.নেট | সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 324 বার পঠিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) তালিকাভুক্ত ওভার-দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ২১ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিবকে তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল রোববার ওটিসির এ ২১টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো- পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, মুন্নু ফেব্রিক্স, আজাদী প্রিন্টার্স, বিডি মনোস্পুল পেপার, বাংলাদেশ হোটেলস, রহমান কেমিক্যালস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলস, গাচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্ম, হিমাদ্রি, যশোর সিমেন্ট কোম্পানি, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার, ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স, দ্যা ইঞ্জিনিয়ার্স, বেঙ্গল বিস্কুট ও হিল প্ল্যান্টেশন।
আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে উপযুক্ত ‘কর্ম পরিকল্পনা’ দাখিলের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আর্থিক অবস্থার তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানিগুলোর কাছে আরও কয়েকটি বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে রয়েছে – সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, বর্তমান আর্থিক অবস্থার প্রতিবেদন, সকল সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বর্তমান শেয়ার ধারণের অবস্থা, প্রসপেক্টাস, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), পুন:প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আরপিও) ও রাইট ইস্যুর তথ্যের (আরওডি) কপি, কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থের ব্যবহার ও অব্যবহৃত অর্থের তথ্য, ব্যাংকের কাছে বর্তমান দায়বদ্ধতা ও ঋণের তথ্য; মজুদ পণ্যের তথ্য, ট্যাক্স ও ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের তথ্য এবং কোম্পানি সংক্রান্ত আরো প্রয়োজনীয় তথ্য।
কোম্পানিগুলোতে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সাল থেকে কোম্পানিগুলো উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ওটিসি প্ল্যাটর্ফমে তালিকাভুক্ত রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলো সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না এবং প্রতিনিয়তই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে না পারার জন্য ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।’
আরও বলা হয়েছে, ‘ওটিসির কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে দীর্ঘদিন ধরে কোনো মুনাফা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। কখনও কখনও এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা সর্বস্ব খুইয়েছেন। ফলে এ পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বার্থহানিকর এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসির কাছে অগ্রহণযোগ্য।’
এসব কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও কোম্পানি সচিবকে বিভিন্ন দিনে শুনানির জন্য বিএসইসিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২১ কোম্পানির ওপর বিশেষ নিরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। একইসঙ্গে ওটিসির আরও ৪৩ কোম্পানির বিষয়ে সার্বিক প্রতিবেদন তৈরিরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৬৪টি এবং সিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৪৯টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
Posted ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | motaleb hossen