আদম মালেক : | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 297 বার পঠিত
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বড় হচ্ছে অর্থনীতি। ইন্স্যুরেন্সের বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। একই সঙ্গে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ভূমিকাও বাড়ছে। আর এই উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য প্রয়োজন সততা। তাই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কন্টিন্টোল ইন্স্যুরেন্স সততার সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে জানান কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান এ কে এম আজিজুর রহমান। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ কে এম আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে বাজেট ছিল সাড়ে সাতশো কোটি টাকা। এখন আমার নিজের কোম্পানিতে আড়াই হতে ৩ হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম। ইন্স্যুরেন্সে আগে যেখানে ২শ কোটি টাকার বাজার ছিল এখন জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বাজারই ৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমরা এখনো প্রথম প্রজন্মের কোম্পানি হিসেবে কাজ করছি। আমরা যেভাবে পেরেছি সেভাবে কাজ করেছি। এখন ২য় প্রজন্ম উচ্চ শিক্ষিত, বিদেশে গিয়েও লেখাপড়া করেছে। তারা লক্ষ্য নিয়ে আসে। প্রতিটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে এক একটি লক্ষ্য নিয়ে আসা উচিত। কেউ সরকারের বড় বড় প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করবে। কেউ অন্য প্রকল্প দেখবে। আগে পুনঃবীমা সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। আমার পরিবারের অনেকেই কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক। তারা উচ্চ শিক্ষিত। তাদের অভিজ্ঞতা ব্যবসাকে এগিয়ে নিচ্ছে।
২৫ বছরে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শতভাগ সততার সঙ্গে কোম্পানিটি পরিচালনা করছি। ব্যবসা করছি, ভ্যাট দিচ্ছি, ট্যাক্স দিচ্ছি। এক ঝাঁক শিক্ষিত ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিয়েছি। এটাই আমাদের অর্জন। এখানে ৩৫০ জনবল, ৩৯ টি শাখা রয়েছে। বছরে ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকার টার্নওভার। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা আরও সম্প্রসারণ করতে চাই। মানুষকে অধিকহারে বীমার আওতায় এনে আরও ঝুঁকি গ্রহণ করতে চাই। যেমন গ্রামে হাটবাজারে ছোটো ছোটো দোকানপাট পুড়ে যাচ্ছে। দোকানদারদের বোঝাতে হবে, বীমা করলে আপনারা নিরাপদ থাকবেন। পাঁচশো টাকার প্রিমিয়াম দিলে কোম্পানি ৫০ হাজার টাকার ঝুঁকি বহন করবে। ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক বীমাকারী বলে, বীমা কোম্পানি নাকি বীমা দাবি পরিশোধ করে না। যারা বীমা করেছে তারা জানে না আসলে তারা কোম্পানিকে কি দিয়েছে কতটুকু দিয়েছে। একজন বীমাকারীকে নিজের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। বীমা করে মেয়াদ শেষে অনেকে বীমা দাবি পাচ্ছে না-এর কারণ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে এই বীমা ব্যক্তিত্ব বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষ অশিক্ষিত। তারা কোম্পানির অনেক প্রতিনিধির প্রতারণার শিকার। এ প্রতারণারোধে আমরা কাজ করছি। তাই বীমাকারীদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম।
আজ থেকে ২০ বছর পর এ দেশকে কোথায় দেখতে চান-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে আরো গোছানো দেখতে চাই। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। যত্ম নিতে হবে সৎ মানুষের। তাহলেই তৈরি হবে সৎ মানুষ। কমিশন বাণিজ্য সম্পর্কে বীমা শিল্পের এ উদ্যোক্ত জানান, কমিশন বাণিজ্য বীমা খাত প্রসারের অন্তরায়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা গেলে বীমা খাত হবে দেশের অর্থনীতির মাইলফলক। কোম্পানিগুলো অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হবে। সৃষ্টি করতে পারবে একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি। এতে দেশের শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বীমা খাত।
Posted ৫:০৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |