শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করেনার ধাক্কায় ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৪ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   362 বার পঠিত

করেনার ধাক্কায় ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ধস

করেনার ধাক্কায় বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায়। এক মাসের ব্যবধানে বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো কোনো ব্যাংক পরিচালন লোকসানের মুখে পড়বে।
ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা বলছেন, কর্পোরেট কর প্রদান,ঋণমানের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ এবং যাবতীয় খরচ বাদ দিলে ব্যাংকের নিট মুনাফা বলতে কিছুই থাকবে না। তবুও একদিন না একদিন মুনাফা হয়তো করা যাবে। কিন্তু মূলধনে আঘাত এলে ব্যাংক বাঁচবে না।
জানা যায়, এপ্রিল মাসে বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি টাকা। কিন্তু এক মাস আগেও তা ছিল ৬০ কোটি টাকা।একই অবস্থা সাউথইস্ট ব্যাংকের। এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ৫৩ কোটি টাকা কমেছে। এপ্রিল মাসে মাত্র ২২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের।আরও করুণ অবস্থা বেসরকারি খাতের ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের।এপ্রিল মাসে মাত্র ১০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা হয়েছে ব্যাংকটির। কিন্তু মার্চ মাসে পরিচালন মুনাফা ছিল ৫০ কোটি টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম কামাল হোসেন বলেন, সব ব্যাংকের একই চিত্র। পরিচালন মুনাফা কমা এটা প্রথম ধাক্কা।এরপর ভয়াবহ মূলধন ঘাটতির দিকে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাত।
করোনার আঘাতে বেসরকারি খাতে সব চেয়ে বড় ব্যাংকটির মুনাফা পুরোপুরি অর্ধেকে নেমে এসেছে। মার্চ মাসে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালন মুনাফা ছিল ১৬০ কোটি টাকা। কিন্তু এপ্রিল মাসে এসে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮০ কোটি টাকায়। মার্চ ও এপ্রিল মাসের হিসাব অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা নেমেছে ৭২ থেকে ৩৪ কোটি,ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫৬ থেকে ১০ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ৭০ থেকে ৩৩ কোটি, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৬৩ থেকে ১৮ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ৬৩ থেকে ৩০ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৫১ থেকে ১৪ কোটি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ৭২ থেকে ২৭ কোটি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৭০ থেকে ৩০ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৪২ থেকে ২০ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের ৬৫ থেকে ৩১ কোটি, উত্তরা ব্যাংকের ৪২ থেকে ২১ কোটি এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ৪০ থেকে ১৮ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,এমন দৃশ্য জীবনেও দেখিনি। ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছি। অপর এক ব্যাংকের এমডি বলেন, একের পর এক আঘাতে ব্যাংকিং খাত শেষ হয়ে যাবে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত কয়েক মাস সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ।এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি হচ্ছে না।রেমিটেন্স আসছে না। ঋণের টাকা আদায় হচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।শুধু পরিচালন মুনাফা নয়,এবার মূলধনেও আঘাত আসবে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11169 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।