শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২২ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   459 বার পঠিত

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২৪ জন মারা গেছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৯৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।

শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১৯০ জনে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, নয়জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজন রয়েছেন। ১৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, আটজন বাসায় এবং একজন হাসপাতালে আনার পথে মারা যান।

গত বৃহস্পতিবারের (২১ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন মারা গেছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৭৩ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগী কমলেও হয়েছে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়, করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২২৫ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৮ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৬০ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৫৮হাজার ৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ১৭১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৪ হাজার ৯২৩ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার প্রায়। তবে ২১ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৫:৩৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।