নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১২ জুন ২০২১ | প্রিন্ট | 224 বার পঠিত
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এর ফলে সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বাজার মূলধন। বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৯৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা নয় সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ল ৮১১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৯০ কোটি টাকা।
আগের আট সপ্তাহেও বড় অঙ্কের মূলধন বাড়ে বাজারটিতে। আগের আট সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৪৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে লকডাউনের নয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫০ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৪৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৮ টাকা বা ৩৯.৪২ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৮৫ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫.৩৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২০.৩৬ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৭.৭৬ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ এবং সিএসআই ২১.৫৩ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৫৯৪.৪২ পয়েন্ট, ১৩ হাজার ১১৮.৬৪ পয়েন্টে এবং সিএসআই ১ হাজর ৭৭.১৯ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ১২.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৩.৪৩ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুডে় সিএসইতে ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৩টির বা ৫৭.৭৮ শতাংশের দর বেডে়ছে, ১২৩টির বা ৩৬.৮৩ শতাংশের কমেছে এবং ১৮টির বা ৫.৩৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
Posted ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ জুন ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan