নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 60 বার পঠিত
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেকমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব¡ পালন করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১), দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদক ঢাকা-১ এ কার্যালয়ে অভিযোগপত্র নম্বর ৬ অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদকের মামলায় উল্লেখ, মিসেস আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জন করা। মির্জা আব্বাস সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তারা (স্বামী-স্ত্রী) ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। মামলায় আফরোজা আব্বাসের নামে সর্বমোট ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। আসামীরা বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে ১৬ আগস্ট ২০০৭ পর্যন্ত এই সম্পদ অর্জন করেছেন।
সূত্র মতে, আফরোজা আব্বাস দুদকে দাখিলকৃত ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের উৎস হিসেবে এম এন এইচ বুলুর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ এবং মা-বাবা ও বোনের কাছ থেকে এক কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনও দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।’
দুদকের মামলায় আরো উল্লেখ রয়েছে, আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬টি, যার মূল্য ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের এক লাখ শেয়ারের মূল্য ১০ কোটি টাকা, এফডিআর ও ডিপিএস-এ বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এক কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ প্রদান ৪৫ লাখ টাকা, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার ক্রয় ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।’
Posted ৮:২০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy