নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট | 515 বার পঠিত
চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির বোর্ড সভা। কোম্পানিগুলো হলো- ইস্টার্ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, লিনডে বিডি ও ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সভায় কোম্পানিগুলো ২০২০ হিসাব বছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইস্টার্ন ব্যংক লিমিটেডে : আগামী ৫ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে ইস্টার্ন ব্যংক লিমিটেডের বোর্ড সভা। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার ২০০ কোটি ৮১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৮৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৪১ কোটি ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৮টি শেয়ারের মধ্যে ৩০.১৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৪৫.২৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৬১ শতাংশ বিদেশি এবং ২৩.৯৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮৮ পয়সা।
৯ মাসে (জানুয়ারি ২০২০- সেপ্টেম্বর ২০২০) সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা।
কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস (জানুয়ারি ২০২০- সেপ্টেম্বর ২০২০) হয়েছে ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৫ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত সময়ে ছিল ৩১ টাকা ৯৮ পয়সা।
উত্তরা ব্যংক লিমিটেড : আগামী ৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে উত্তরা ব্যংক লিমিটেডের বোর্ড সভা। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার কোটি টাকা এবং ৫০১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৫০ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৯০টি শেয়ারের মধ্যে ৩০.৫৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২২.৪৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.২৬ শতাংশ বিদেশি এবং ৪৬.৭৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০)) সমন্বিতভাবে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৫০ পয়সা।
৯ মাসে (জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫৪ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৩ টাকা ৮৭ পয়সা। গতবছর একই সময়ে এনএভিপিএস ছিল ৩০ টাকা ১৯ পয়সা।
লিন্ডেবিডি লিমিটেড : আগামী ৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে লিন্ডেবিডি লিমিটেডের বোর্ড সভা। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।
২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০ কোটি টাকা এবং ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৯৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ কোম্পানির এক কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০টি শেয়ারের মধ্যে ৬০.০০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩১.৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮.৪০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে,(জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৯ টাকা ২৫ পয়সা।
(জানুয়ারি’২০-সেপ্টেম্বর’২০) ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৭ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৫৬ টাকা ০১ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৭৩ টাকা ৯২ পয়সা।
গত ৩১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৩৩ টাকা ৫২ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৩১২ টাকা ৫৫ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকে এ কোম্পানি ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা সভা আগামী ৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বীমা খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৮১ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৮০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৮ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৯টি শেয়ারের মধ্যে ৪৩.১৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৩.৪৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৩৩.৩৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা।
(জানুয়ারি’২০-সেপ্টেম্বর’২০) ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ৯৬ পয়সা, আর এককভাবে এনএভিপিএস ছিল ২০ টাকা ৮৬ পয়সা।
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan