| সোমবার, ১৩ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 497 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে রোববার প্রথমার্ধে ইতিবাচক গতিতে লেনদেন হলেও শেষার্ধে মুনাফা তুলে নেওয়া হয়। শেয়ার কেনা ও বেচার হার প্রায় সমান সমান ছিল। এ কারণে শেয়ারের দর বৃদ্ধি ও কমার মধ্যে ব্যবধান খুব অল্প ছিল। বেড়েছে ৪৪ শতাংশ কোম্পানির দর। অন্যদিকে কমেছে ৪৩ শতাংশের দর। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধি সত্ত্বেও সবকটি সূচক পতনে ছিল। রোববার শেয়ার কেনার প্রবণতা বেশি ছিল বস্ত্র, বিবিধ খাতে। তবে তথ্য ও প্রযুক্তি এবং আর্থিক খাত ভালো অবস্থানে ছিল। বস্ত্র খাতে অধিকাংশ কোম্পানি ছোট মূলধনি। যার কারণে এ খাতে লেনদেন ও শেয়ারদর বাড়লেও সূচক ইতিবাচক হতে পারেনি।
রোববার মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ বা ৫৫ কোটি টাকা হয় বস্ত্র খাতে। এ খাতে দর বেড়েছে ৬৪ শতাংশ কোম্পানির। ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে আরএন স্পিনিং। এছাড়া সায়হাম টেক্সটাইল, জেনারেশন নেক্সট, জাহিন স্পিনিং ও ফ্যামিলি টেক্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এসব শেয়ারের দর সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এ্যাসকোয়ার নিটের সোয়া ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ওয়েম্যাক্স ইলেকট্রোড, অ্যাপোলো ইস্পাত দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। এছাড়া ওয়েম্যাক্সের প্রায় ১০ কোটি টাকা, এসএস স্টিলের প্রায় ছয় কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতের পাওয়ার গ্রিডের প্রায় ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে সাড়ে তিন টাকা।
কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। রোববার বিবিধ খাতে লেনদেন বেড়েছে তিন শতাংশ। এ খাতে ৬৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় আট শতাংশ, দর বেড়েছে ৪১ শতাংশ কোম্পানির। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৭৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের আমরা নেটের দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া আর্থিক খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। শতভাগ ইতিবাচক অবস্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। রোববার সবচেয়ে বেশি দরপতন হয় চামড়া শিল্প খাত ও খাদ্য খাতে। শতভাগ নেতিবাচক ছিল টেলিযোগাযোগ, কাগজ ও মুদ্রণ খাত।
Posted ৩:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed