নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 192 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানিগুলো সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সময়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) রয়েছে মিশ্র অবস্থানে। তিন প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৬ কোম্পানির। কমেছে ৩ টির ও লোকসান রয়েছে ৫টি কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
শেয়ারপ্রতি আয় বৃদ্ধির তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হলো-আরামিট লিমিটেড, বার্জার পেইন্ট, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইনডেক্স এগ্রো ও জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড।
শেয়ারপ্রতি আয় হ্রাসের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হলো-আমান ফিড লিমিটেড, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ও এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
শেয়ারপ্রতি আয় লোকসানের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হলো- জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ন্যাশনাল ফিড মিল, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ ও উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী লিমিটেড।
প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা যায়, আরামিট লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৯৮ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৭৮ পয়সা বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ টাকা ৯ পয়সা। গত অর্থবছর শেষে বার্জার পেইন্ট ৪০০ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দিয়েছিলো।
বেক্সিমকো লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ১৩ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা ৮৮ পয়সা। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ১৪ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা ৭৬ পয়সা।
ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৭৭ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ পয়সা।
জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ১১ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৯ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে আমান ফিডের। তাদের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২৯ পয়সা কমেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) ছিল ৪৫ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস হ্রাস পেয়েছে ৬ পয়সা।সিনোবাংলা ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৩ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস হ্রাস পেয়েছে ২ পয়সা।
এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে ৬৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস হ্রাস পেয়েছে ৩৪ পয়সা।
লোকসানে থাকা কোম্পানিগুলো তিন প্রান্তিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- জিকিউ বলপেনের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) লোকসানের মধ্যে ছিলো। গত বছরের তুলনায় লোকসান কমেছে (১ টাকা ১৫ পয়সা)। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে (১ টাকা ৩৬ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (২ টাকা ৫১ পয়সা)। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে (৩ টাকা ৪ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (৭ টাকা ৪৮ পয়সা)। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লোকসান কমেছে (৪ টাকা ৪৪ পয়সা)।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) লোকসানের মধ্যে ছিলো। গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে (১ পয়সা)। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে (৪ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (৩ পয়সা)। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে (১৬ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (১২ পয়সা)। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে (৪ পয়সা)।
ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) লোকসানের মধ্যে ছিলো। গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে (৬ পয়সা)। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে (৬ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭০ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে (৭ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লোকসান হয়েছে (৭ পয়সা)।
সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) লোকসানের মধ্যে ছিলো। গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে (৯ পয়সা)। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে (৩৪ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (২৫ পয়সা)। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে (৮৭ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (৬৯ পয়সা)। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে (১৮ পয়সা)।
উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) লোকসানের মধ্যে ছিলো। গত বছরের তুলনায় লোকসান কমেছে (৮০ পয়সা)। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে (৭৩ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (১ টাকা ৫৩ পয়সা)। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (জুলাই’২০২১-মার্চ’২০২২) ইপিএস হয়েছে (২ টাকা ৩০ পয়সা), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল (৪ টাকা ৮৮ পয়সা)। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লোকসান কমেছে (২ টাকা ৫৮ পয়সা)।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy