শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অংশ নির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবি

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত হওয়াার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০   |   প্রিন্ট   |   372 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত হওয়াার শঙ্কা

করোনাভাইরাসের কারণে সাড়া বিশ্বের মত বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরবে সব ধরণের ব্যবসা। তাই আর্থিক ক্ষতির মোকাবিলায় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। কিন্ত এ প্রণোদনা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হবেন এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, প্রণোদনা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এক হাজার কোটি টাকা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যে টাকা ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করে শুধু এমন প্রতিষ্ঠান পাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৭ম বার্ষিকী-কোভিড-১৯ : সংকটের মুখে শ্রমিক ও মালিক-সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করে-এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৫৬ লাখ। আর তাদের শ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের মতো। জিডিপিতে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবদান ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা পহেলা বৈশাখ হারিয়েছি। আগামীতে রমজান আমাদের হারিয়ে যাবে-এটা আমরা বুঝতে পারছি।

তিনি বলেন, দুই ধাপে প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য। দুঃখের বিষয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা নিতে পারবে না। কারণ বলা হচ্ছে, ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই ঋণ নিতে পারবে। কিন্তু ১ কোটি ২০ লাখ শ্রমিকের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে নেই। সুতরাং এই ঋণ তারা পাবেন না।

হেলাল বলেন, এজন্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যেখান থেকে ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করেন শুধু এমন প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে পারবে। তা নাহলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবেন। ব্যাংক তাদের ঋণ দেবে না।

‘জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণ দিতে চাইবে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে হবে। ব্যাংক হিসাব খুলে চেক বই দেয়া হবে। ধরেন, একজন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেবে। এর বিপরীতে ৫৫ হাজার টাকার চেক লিখে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এটাই হবে জামানত। যেহেতু অগ্রিম চেক থাকবে। সুতরাং ব্যাংক যেকোনো সময় এই টাকা আদায় করতে পারবে’-বলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির এই সভাপতি।

বিবিএনিউজ/এসখান

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।