নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 102 বার পঠিত
জীবন বীমা করপোরেশনের (জেবিসি) ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত রোববার (১৪ মে) ‘সুবর্ণজয়ন্তী-২০২৩’ উদযাপন করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। প্রধান অতিথির প্রতিনিধি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ এ সভায় আলোচনা করেন। জীবন বীমা করপোরেশনের দীর্ঘ পথচলার ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের চেয়াম্যান মো. আসাদুল ইসলাম, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান ড. সোহরাব হোসেন, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান এবিএম আব্দুল হান্নান, করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পারভিন সিদ্দিকা। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া, জীবন বীমা করপোরেশনকে আরও পরিচিত করতে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ট্রাফিক পুলিশ, চৌকিদার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঝে এক হাজার ছাতা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বীমা খাতের বৈশ্বিক গড় আকারের তুলনায় আমরা ১৪ গুণ পিছিয়ে আছি। অর্থনীতির জন্য এটি সুখকর নয়। বৈশ্বিক গড়ের কাছাকাছি যেতে পারলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান বাড়বে। বীমা খাতের উন্নয়নে সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারলে এ খাত অনেক এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর দাবির একটি অংশ অপরিশোধিত রয়ে যাচ্ছে। এতে বীমার প্রতি ক্রমাগত মানুষের আস্থা কমছে। এ খাতকে এগিয়ে নিতে আস্থা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী জীবন বীমা খাতে ৬৬ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ হয়েছে। বাকি ৩৪ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। জীবন বীমা করপোরেশন অবশ্য ৮৭ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ করছে। ১৩ শতাংশ দাবি পরিশোধ করতে না পারা অপ্রত্যাশিত। দাবি পরিশোধ পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারলে এ খাতের ভাবমূর্তি বাড়বে। স্বচ্ছতা বাড়াতে অটোমেশনে জোর দিতে হবে। নতুন নতুন পণ্য চালু এবং দাবি পরিশোধের মাধ্যমে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, বীমা সম্পূর্ণ একটি আস্থার বিষয়। বীমা শুরুর পর জীবন বীমা করপোরেশনের ৭৩ শতাংশ এবং সামগ্রিক বীমা খাতের ৫৫ শতাংশ শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিলেও বাকিরা এক-দুই বছর দিয়ে আর দিচ্ছে না। এটি মারাত্মক বিষয়। এতে বীমার প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি হয়।
জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রযুক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে জীবন বীমা করপোরেশনকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এখন আমরা ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। যখন ৬০ বছর বা শতবার্ষিকী পালন হবে, তখন হয়তো আমাদের অনেকে থাকবেন না। তবে তখন যেন আরও সুনামের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান অবস্থান করে নিতে পারে।’
Posted ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |