বিবিএ নিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 219 বার পঠিত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করেছি। এ খাল পরিষ্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হবে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। খাল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুনরুদ্ধারকৃত লাউতলা খালের দূষণ রোধে জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমে তিনি এসব কথা বলেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ.আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ১ বছর আড়াই মাস আগে আমরা ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯টি খাল বুঝে পাই। এরপর থেকেই দেখছি দুই “দ”, ‘দখল’ আর ‘দূষণ’ এর কবলে খালগুলো সব মৃতপ্রায়। খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহ দেখার অভিপ্রায় নিয়ে আমরা কাজ করছি নিরন্তর।
তিরি আরও বলেন, এ রামচন্দ্রপুর-লাউতলা খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠে ট্রাক স্ট্যান্ড। ১৪ বছর ধরে থাকা সেই অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড আমরা উচ্ছেদ করেছি খালটিকে বাঁচানোর জন্য। ২৩ জানুয়ারি আমরা খালটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করি। আজ ৩১ মার্চ খালে পানির প্রবাহ দেখতে পাচ্ছি। এই খালে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না। খাল পরিষ্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করে দেওয়া হবে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। খাল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মানুষ এই খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। এই খালে পলিথিন, পুরনো সোফা, কার্পেট, চটের বস্তাসহ বাসা-বাড়ির সব ধরনের ময়লা ফেলা হয়েছে। খালে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। এই খাল দিয়ে নৌযান চলবে, মাছের চাষ হবে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। এর জন্য সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে জনগণেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণকে সংঘবদ্ধভাবে খাল দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
মেয়র আতিক বলেন, নৌকায় চড়ে আমি দেখেছি অসংখ্য খামার ও বাড়ির বর্জ্য সরাসরি এই খালে গিয়ে পড়ছে। আপনারা ব্যবসা করবেন কিন্তু এই খালের ও শহরের ক্ষতি করবেন না। শুধু নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে সকলের কথা চিন্তা করবেন, এই শহরের কথা চিন্তা করবেন।
তিনি আরও বলেন, এই খালটির এতদিন সঠিক তদারকি ছিল না। এখন এই খালটির দায়িত্ব নিয়েছে সিটি করপোরেশন। খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান। খালের সীমানার মধ্যে যত স্থাপনা থাকবে সব ভেঙে ফেলা হবে। সীমানা নির্ধারণ হলে এই খালের পার দিয়ে ওয়াকওয়ে এবং সবুজায়ন করা হবে। যদি জায়গা বেশি পরিমাণ থাকে সেক্ষেত্রে সাইকেল লেনও করা হবে।#
Posted ৭:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy