
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 461 বার পঠিত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন এবং গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও। এনএসইউতে যোগদানের পূর্বে পোস্টডক্টোরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন জার্মানির আন্তর্জাতিক ম্যাক্স-প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটে (এমপিআই)। ২০১১ সালে জার্মানির কেম্নিটজ বিশ্ববিদ্যালয় (টিইউসি) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পিএইচডির আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গাণিতিক বিদ্যায় মাস্টার্স (এমএস) এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাণিতিক বিদ্যায় ব্যাচেলর (বিএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশের সাধারণ বীমা খাতের অন্যতম কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) কার্যনির্বাহী পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা করতে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। নির্বাচিত হলে বিআইএ’র মাধ্যমে দেশের বীমা খাতকে এগিয়ে নিতে কীভাবে কাজ করবেন এ নিয়ে ব্যাংক বীমা অর্থনীতির সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেন তিনি। ড. হোসেন বলেন, আমাদের উচিত বিআইএকে নতুন করে সাজানোর এই সুযোগটি কাজে লাগানো। মেধা, যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে বিআইএ’র মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা যাবে। নির্বাচিত হলে আমি সেইসব বিষয়ে নজর দিতে চাই; যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করলে দেশের বীমা খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান বলেন, আমি মনে করি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি রয়েছে। অর্থনীতিতে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বীমাশিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এ শিল্পকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে, বীমা খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিআইএ কার্যকর এবং ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বীমা খাতের অবদান অনস্বীকার্য। যখন অর্থনীতি এগিয়ে যায় তখন ঝুঁকি সুরক্ষার বিবেচনাও একই সাথে আসে। বীমা ব্যক্তি, পরিবার এবং কোম্পানিকে অসংখ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে এবং একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে বীমাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সাফল্যের সাথে সাথে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার ব্যাপক ক্ষেত্র বা সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোর জন্য যুগোপযোগী বীমা পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন, বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিআইএ’র মাধ্যমে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মনে করেন, বীমা খাতে কমিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক চর্চা বন্ধ করতে হবে। আকর্ষণীয় বীমাপণ্যের অভাবও এ খাতের অন্যতম দুর্বলতা। বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে শক্তিশালী আইনি কাঠামো, সচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এক্ষেত্রে অন্যান্য অংশীজনদের পাশাপাশি বিআইএ’ গুরুত্বপূর্ণ পালন করতে পারে।
Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy