বিবিএ নিউজ.নেট | রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 281 বার পঠিত
বিশ্ব বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে টানা তৃতীয় মাসের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে এই মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে খাদ্য পণ্য যে মূল্যে বিক্রি হচ্ছে তা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্য পণ্যের মূল্য বেড়েছে ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরবরাহে ঘাটতি, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি নানা কারণেই বিশ^বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্য এমন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে খাদ্য পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করি তাহলে দেখা যাবে, গত প্রায় এক বছর ধরেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সব ধরনের পণ্যের পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাবার কারণে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। এদিকে জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিকগণ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পতিত হচ্ছেন। বাজারে সব ধরনের পণ্যের মূল্য আরো এক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। লঞ্চ মালিকগণ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, জ্বালানি তেলের মূল্য কি দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে? যদি তা না হয় তাহলে ভাড়া দ্বিগুণ করার এই অযৌক্তিক দাবি কেনো করা হচ্ছে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, সরকার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে অচিরেই সমঝোতায় যেতে পারেন। তাদের দাবি মতো পরিবহন ভাড়া বাড়নো হতে পারে। ইতিপূর্বে করোনার কারণে বাসের অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চালানোর প্রেক্ষিতে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই বর্ধিত ভাড়া এখনো অনেক ক্ষেত্রে আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী বহন তো দূরের কথা দাঁড় করিয়েও যাত্রী নেয়া হচ্ছে। এসব সংগঠনের অযৌক্তিক দাবি কোনো ভাবেই ছাড় দেয়া উচিত হবে না। সরকারের এ ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান প্রয়োজন। বাস মালিকরা বরাবরই নানাভাবে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
Posted ১:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy