নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট | 163 বার পঠিত
বীমা খাতকে এগিয়ে নিতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি আয়োজিত অ্যাসোসিয়েটশিপ সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অথচ তাইওয়ানে ২০ দশমিক ১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তাই এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পেশাগত শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ খাতকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। আর এ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য জন্য দরকার অর্থ। এটা খরচ নয় বিনিয়োগ। দীর্ঘমেয়াদি লাভের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান দক্ষ জনবল তৈরীর উদ্যোগ নেয়। এজন্য গ্রহণযোগ্য বেতন কাঠামো অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বীমা খাতে আস্থা সংকটের অভাব। এ সংকট দূর করতে হলে বীমা কোম্পানীগুলোকে যথাসময়ে বীমা দাবি পরিশোধ করতে হবে। তবে সব প্রতিষ্ঠানে সমস্যা নেই। অল্প কয়টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নামের কারণে সব প্রতিষ্ঠানকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে জাতীয় বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে বীমা খাতের একজন গর্বিত সদস্য মনে করেন। তার বলিষ্ঠ হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের বীমা খাত। বীমা খাতের বিকাশের জন্য প্রয়োজন- আইনী কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, সেবা সহজিকরণ, বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বীমা সেবা পৌঁছিয়ে দেয়া।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কিন্তু বীমা অফিসে নিজের জন্য চাকরি করেননি। তিনি দেশ, জাতি এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করার হাতিয়ার হিসেবে বীমাতে কাজ করেছেন। এর ফলশ্রূতিতে ১৯৭৩ সালে বীমাকে জাতীয়করণ করেন। দেশে প্রথমে কিন্তু বীমার জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়, ব্যাংকের জন্য নয়। তাই আমাদের বুঝতে হবে বীমা সেক্টরের গুরুত্ব কতটুকু।
Posted ৯:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy