শনিবার ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন ও সাফল্যের এক যুগ

বীমা শিল্পের গতিশীলতায় আইডিআরএ’র ভূমিকা ছিল যুগান্তকারী

জাহিদুল ইসলাম সজীব   |   মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ২০২২   |   প্রিন্ট   |   285 বার পঠিত

বীমা শিল্পের গতিশীলতায় আইডিআরএ’র ভূমিকা ছিল যুগান্তকারী

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের বীমাখাত ছিল অবহেলিত। এ খাতে আইনের বিধিবিধান পরিপালনের কোনো বালাই ছিল না। বীমাখাতে শৃঙ্খলা আনতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী বীমা আইন করার লক্ষ্যে সরকার বীমা আইন, ১৯৩৮ রহিত করে বীমা আইন ২০১০ প্রণয়ন করে। একইসাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ প্রণয়ন করে বীমা অধিদফতরকে বিলুপ্তি ঘটানো হয়। ২৬ জানুয়ারি, ২০১১ সালে একজন চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্যের সমন্বয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেইআইডিআরএ বীমাশিল্প ব্যবসার তত্ত্বাবধান, বীমা পলিসি গ্রাহক ও পলিসির অধীনে পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ, বীমাশিল্পের নিয়মতান্ত্রিক উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আইডিআরএ এ পর্যন্ত তিনটি আইন, ১০টি বিধি ও ১৫টি প্রবিধান গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ৪টি বিধি ও ১৭টি প্রবিধি। পাশাপাশি দেশের বীমা সেক্টরের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। বীমাশিল্পের প্রচার ও প্রসারে নিয়েছে নানামুখী পরিকল্পনা। দীর্ঘ একযুগে অর্থনীতির অন্যখাতের মতো বীমাখাতও পেরিয়েছে নানা চড়াই-উৎরাই। এর মধ্যেও বীমাখাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ছিল সরকারের নানা উদ্যোগ। এসব উদ্যোগের সুফল বীমাখাতে ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে।

খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ একযুগে বীমাখাতে ব্যর্থতার চেয়ে সফলতার পাল্লাই ছিল ভারী। খাতটির উন্নয়নে ও সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়াতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ছিল বেশ তৎপর। প্রতিষ্ঠানটির নানা উদ্যোগের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বীমা কোম্পানিগুলো এবং খাতটির নেতৃত্বে থাকা সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম।
এক যুুগে নেয়া আইডিআরএ’র কিছু কার্যকর পদক্ষেপ। জাতীয় বীমা দিবস : বীমা সেক্টরের উন্নয়নের জন্য নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় বীমা দিবস পালন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন। তাঁর এ যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো দেশে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হয়। ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং আইডিআরএ। প্রধানমন্ত্রী দিবসটির উদ্বোধন করেন। তার বক্তব্যে খাতটির সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনাসংশ্লিষ্টদের প্রত্যয়ী ও আশাবাদী করে তুলেছে। বীমা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বীমাশিল্পের উন্নয়ন, বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শোভাযাত্রা, বীমামেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে আইডিআরএ।

নতুন নতুন বীমা স্কিম চালু : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রবাসী কর্মীদের বীমা সুবিধা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে বিদেশগামী সকল কর্মী বীমার আওতায় চলে এসেছেন। হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য শস্য বীমা চালু করা হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৫ হাজার কৃষককে নিয়ে বাগেরহাট ও নেত্রকোনায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষিবীমা চালু করা হয়েছে। যার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। পরীক্ষাধীন রয়েছে কয়েকটি পরিকল্প। যার মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দু’টিসহ নতুন ৩ বীমা পরিকল্প চালু করার অনুমোদন দিয়েছে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। পরিকল্প তিনটি হলো- বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা, বঙ্গবন্ধু স্পোর্টসম্যান’স কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স এবং স্পোর্টস ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’র প্রস্তাবক সাধারণ বীমা করপোরেশন, বঙ্গবন্ধু স্পোর্টসম্যান’স কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সের প্রস্তাবক বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং স্পোর্টস ইন্স্যুরেন্স’র প্রস্তাবক গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণের মৃত্যু বা পঙ্গুত্ববরণ করলে তাদের পড়াশোনা চলমান রাখার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি স্কুল নিয়ে আইডিআরএ’র অর্থায়নে ২ বছরের জন্য নিরিক্ষাধীন রয়েছে। তাছাড়া ১৬ লক্ষাধিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘স্বাস্থ্য বীমা’ চালু করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে নির্ধারিত কয়েকটি বুধবার ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো বীমাদাবি পরিশোধের প্রয়াস’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিধবা এবং পিতামাতা হারানো সন্তানদের জন্য পিতা/স্বামীর করে যাওয়া বীমাদাবি পরিশোধের মাধ্যমে তাদের মুখ হাসি ফোঁটানোর একটি অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দফতরে চলমান রয়েছে। এছাড়া বীমাখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় আইডিআরএ ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতি বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে। ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতি হলো- দেশের ব্যাংকগুলোর শাখা থেকে বীমা পলিসি বিক্রি হবে। গ্রাহকদের আর বীমা কোম্পানিতে যেতে হবে না, ব্যাংকের শাখায় গেলেই চলবে। অর্থাৎ ব্যাংক তার নিজের গ্রাহকের কাছে নিজেদের পণ্য তো বিক্রি করবেই, বীমা পণ্যও বিক্রি করবে। ইতোমধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতি চালুর জন্যে দুটি বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতি চালু করা গেলে প্রায় ৮ কোটি ব্যাংক হিসাবধারীর নিকট ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির বীমা বিক্রির সুবিধা মিলবে। অগ্নি-ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে বড় ভবনগুলোর বাধ্যতামূলক বীমা আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে আইডিআরএ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার নিরিখে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় নতুন বীমা স্কিম তৈরি এবং অটিজম ও নিউরো প্রতিবন্ধীদের বীমা সুবিধাসহ রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য বীমা সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আইডিআরএ।

বীমাক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন : জীবন বীমায় উন্নত গ্রাহকসেবা, কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা, এজেন্টের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ইউনিফাইড মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম (ইউএমপি) গড়ে তুলছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। ওই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জীবন বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের পলিসিসংক্রান্ত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবে সংস্থাটি। এতে জীবন বীমায় স্বচ্ছতা ফিরবে বলে আশা করছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা।
বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্প : আইডিআরএ, বিআইএ, সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য ৬৩২ কোটি টাকার বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিআইএসডিপি) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যে প্রকল্পের আওতায় সকল বীমা প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ পদ্ধতির আওতায় পুরো সেক্টরকে নিয়ে আসতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে ও বীমা গ্রাহকদের আস্থার সংকট নিরসনের পাশাপাশি প্রিমিয়াম আয়সহ সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল প্রফেশনাল তৈরি : অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল প্রফেশনাল তৈরির জন্য অ্যাকচ্যুয়ারি বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জীবন বীমার ক্ষেত্রে অ্যাকচ্যুয়ারিদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। দেশের অ্যাকচ্যুয়ারি সংকটের কথা মাথায় রেখে নতুন করে প্রফেশনাল অ্যাকচ্যুয়ারি তৈরির লক্ষ্যে এ খাতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কর্তৃপক্ষের বাজেটে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কমিশন নির্ধারণ: পূর্বে বীমাখাতে কমিশনের নির্ধারিত কোন হার ছিল না। ফলে কোম্পানিগুলোর আয়ের বড় অংশই কমিশন পরিশোধে চলে যেতো। আইডিআরএ এজেন্টদের কমিশন সর্বাচ্চ ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। বর্তমানে ৩টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে কমিশনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। এ ব্যবস্থার ফলে অধিক হারে কমিশন প্রদান বন্ধ ও পাশাপাশি প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি ও সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
জাতীয় বীমা নীতির বাস্তবায়ন : দেশের বীমা শিল্পকে উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ২০১৪ জাতীয় বীমা নীতিমালা প্রণয়ন করে। অনেকগুলো নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হয়েছে পাশাপাশি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে কিছু। যেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বীমা শিল্পকেও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

শেয়ারবাজারে বীমা কোম্পানিগুলো ভুক্তিকরণ : বর্তমানে দেশে ৭৬টি লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স রয়েছে। যার মধ্যে ৪৭টি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ২৭টি তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে আইডিআরএ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনাসহ আইনগত ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করছে। কোম্পানিগুলো যাতে পুঁজিবাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারে সে লক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে চলেছে।

একনজরে দেশের বীমা সেক্টরের আর্থিক সূচক : বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একযুগ অতিক্রান্ত হওয়ায় অর্থবছর ২০০৮-২০০৯ ও ২০১৯-২০২০ যে সাফল্য দেখিয়েছে তা সত্যিই ঈর্ষণীয়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রস প্রিমিয়াম আয় ছিল ৪৯২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯২.৮০ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অপরদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি পরিমাণ ৮.৮৯ শতাংশ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে হয়েছে ৩ হাজার ৬ ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ২৬৮.৫২ শতাংশ। দাবি পরিশোধ করেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দাবি পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৭১.৮০ শতাংশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৮৬.৮৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৫.০৭ শতাংশ।

পাশাপাশি নন -লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একযুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। নন লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে দেখা যায় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে গ্রোস প্রিমিয়াম আয় ছিল ১৩৯ কোটি টাকা ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৪০ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১৬.৬৯ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৭৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অপরদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি পরিমাণ ৫.৭৯ শতাংশ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে ইর্ষণীয় সাফল্য ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে হয়েছে ১ হাজার ৩০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১৫২.৫২ শতাংশ। দাবি পরিশোধ করেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দাবি পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪৮.৯৪ শতাংশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৫২.০৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৩.১৩ শতাংশ।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।