নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট | 218 বার পঠিত
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে রবি আজিয়াটার ব্যবসাউন্নয়নে দূর্বলতা খুঁজে বের করতে বিশেষ নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটিকে নিয়ে যে বিশেষ ধরনের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, তা কোম্পানিটির উন্নয়নে করা হবে। যাতে বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে কোম্পানিটি সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারে। এ কোম্পানিতে যেহেতু বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে, সেহেতু তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোম্পানির কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা বের করা হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, মোবাইল অপারেটর হিসেবে রবি আজিয়াটার টার্নওভার হলেও মুনাফা হয় না। যে কারনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয় নামমাত্র। যাতে কোম্পানিটির ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন হয় না। এমন একটি কোম্পানিকে শেয়ারবাজার থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ উত্তোলনের অনুমোদনের ১ বছরের কম সময়ের মধ্যেই দূর্বলতা খোঁজার সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি। অথচ কোম্পানিটির দূর্বলতা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেও ছিল। তারপরেও সেটিকে তালিকাভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কমিশন।
শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৪ পয়সার ইপিএস নিয়ে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যুর জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পায় রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করে। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।
আইপিও পূর্ব ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয় ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয় ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।
এই কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ০.১৩ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.০৪ টাকা বা ৩১ শতাংশ কমেছে।
Posted ১২:১১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan