আবুল কাশেম | বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 212 বার পঠিত
নতুন ড্যাপের পুরো এলাকায় শুরু হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উচ্ছেদ অভিযান। এই অভিযানে আতঙ্কে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। কারণ রাজউকের প্রভাবশালী কতিপয় কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে একাধিক চক্র ও সিন্ডিকেট। বেশ কিছু স্থানীয় এবং বহিরাগত লোকজনও এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। এদিকে চলমান উচ্ছেদ অভিযানের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, অর্থারাইজ অফিসার, ইমারত পরিদর্শকসহ কর্মকর্তা কৌশলে গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত নগরীর রামপুরা, ডেমরা, মাতুয়াইল, বনশ্রী, উত্তরা. নিকুঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খিঁলগাও, পল্লবী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, জুরাইন, সিদ্দিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, গুলশান. বনানী, বারিধারা, মতিঝিল, বাসাবো, দক্ষিণ খান, উত্তর খান এবং খিলক্ষেতসহ নতুন ড্যাপের প্রকাশিত এলাকায় রাজউকের মোবাইল কোর্ট আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাজউকের সর্বশেষ প্রকাশিত ড্যাপের গেজেটের আওতায় রাজউকের বিভিন্ন এলাকায় নতুন এবং পুরানো নকশায় তৈরি বহুলতল ভবনে হানা দিচ্ছেন এই সিন্ডিকেট। ইতিমধ্যে সিন্ডিকের পরামর্শ এবং নির্দেশনা মোতাবেক বিনা রশিদে অনেকে মোটা অংকের নগদ লেনদেন করে বেশ নিরাপদে রয়েছেন। আর যারা সিন্ডিকেটের পরামর্শ মোতাবেক অবৈধ লেনদেন থেকে বিরত রয়েছেন, তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান ভোক্তভোগীরা। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া রাজউকের এই উচ্ছেদ অভিযানের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। এই অভিযান চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন-১ চ.দা.) প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেনের স্বাক্ষরে জারি করা নগরীর আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকায় রাজউকের অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন নকশায় নির্মিত ভবন/ স্থাপনা চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে অনুমোদন বিহীন নকশায় নির্মিত ভবন/ স্থাপনার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ( সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ সালের ৬০ নং আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতেও বলা হয়েছে।
জারি করা অফিস আদেশে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্টে কবে, কখন, কারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম, পদবি এবং রাজউকের কতজন অংশ গ্রহণ করবেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি বিষয় ও নির্দেশনা প্রতিপালনের কথা রয়েছে। এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অথচ উচ্ছেদ অভিযানকালে মাঠে ময়দানে কর্মরত কর্মকর্তারা গণমাধ্যকে এরিয়ে চলছেন। তারা কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং উচ্ছেদ অভিযানের ছবি তুলতে বাধা দেন। একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করেও উচ্ছেদ এবং জরিমানা সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমকে এরিয়ে চলছেন।
এই বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন-১ চ.দা.) প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও কেনো তথ্য দিচ্ছেন না এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তিনি সংশ্লিষ্ট জোনের পরিচালকদের সাথে যোগযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
Posted ৩:০২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy