| মঙ্গলবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 1029 বার পঠিত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিএনপিকে হারানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন। এ নির্বাচনে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না।’ এ সময় অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মহাসচিব। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে সরকার। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। আবার নির্বাচন করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে কখনও এভাবে নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের আসতে দেওয়া হয়নি। আর ইইউ তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যারা এসেছেন, তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকার নিজের টাকায় তাদের নিয়ে এসেছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘কাল (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেসব মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনও হয়নি এ দেশে। এমনকি সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জালভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ২০১৪ সালে ভোটে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা সঠিক ছিল। এবার তা প্রমাণিত হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেও কেন্দ্র দখল করেছে তারা। কিছু কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ভালো রেখেছে; কিন্তু যখন দেখল ভোটাররা বেরিয়ে আসছে, তখনই সেটি দখলে নিয়েছে। এসব কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সহায়তা করেছে। তারা সব সময় বিরোধী দলকে তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। অনেক জায়গায় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।’
এজেন্টদের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এজেন্টদের যে তালিকার কাগজ ছিল, সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। সিইসি এজেন্টদের বিষয়ে যা বলেছেন, তা সঠিক নয়। আমাদের এজেন্টদের না আসতে দিলে আমরা কী করব? এ নির্বাচনে আগেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি আগে থেকেই ছিল সুপরিকল্পিত। ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে। এ নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভীতি ছাড়া কিছু ছিল না।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা দাবি আদায়ে লিগ্যালি ও আন্দোলন দুটোই চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি থাকবে। দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে।’
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed