নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 158 বার পঠিত
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিভিন্ন কোটা বরাদ্দের বিধান কেন বাতিল করার আদেশ দেওয়া হবে না, তার জবাব চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালত একইসাথে রিটকারীদের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না,তারও জবাব চেয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্য আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে মোর্শেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
জানা যায়, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নারীদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্ধ রেখে জারি করা গেজেট চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত সঞ্জিত সরকার, আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর মোল্লাসহ ১৫২ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট শামীম সরদার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্ধ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ২ এর ঘ অনুসরণ করা হয়। যেখানে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্ধ করা হয়। অথচ সংবিধানের ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অসাংবিধানিক। দেশে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রেখে এ নিয়োগ হতে পারে না। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।/ একে
Posted ৬:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy