মঙ্গলবার ১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০   |   প্রিন্ট   |   535 বার পঠিত

১৩ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১৩ হাজার ১০৪ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৬ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। যা এই অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উপর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, পুরো ব্যাংকিং খাত এই সাত মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। এবছর পুরো ব্যাংক খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে মোট ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা বেশি। এটি আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) তুলনায় ২ হাজর ২২২ কোটি টাকা বেশি। সেবছর ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮ ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা হয় ১১ হাজার ২৯৩ টাকার কৃষিঋণ। বাকি ১২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার ঋণ দেয় বিদেশি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

দেশে কাজুবাদাম ও রাম্বুটানের চাহিদা বাড়ায় এখাতে কৃষিঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষিনীতি অনুযায়ী এখন এ দুই ফল চাষেও ঋণ দিবে ব্যাংকগুলো।

কাজু বাদামের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের দেশে। প্রধানত আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে কাজুবাদামের চাহিদা। তবে দেশেও এটা চাষ করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণ করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।

ইনসিটো পদ্ধতিতে কাজুবাদাম চাষ খুবই সময়োপযোগী একটি প্রযুক্তি। এটি পাহাড়ি এলাকায় ঢালু ও টিলাযুক্ত পতিত অনুর্বর জমির বাণিজ্যিক ফসল। পুষ্টি গুণাগুণের বিবেচনায় এ বাদামকে সুপারফুড বলা হয়। ইনসিটো পদ্ধতিতে কাজুবাদামের চাষাবাদ পাহাড়ের মাটি ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে পাহাড়ি টিলাযুক্ত অনুর্বর পতিত জমিতে এর চারা রোপণ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে কাজুবাদামের চারা অতি দ্রুত বর্ধনশীল এবং বীজ বপনের দুই বছর থেকেই কাজুবাদাম পাওয়া সম্ভব। এছাড়া এটা থেকে তেলও উৎপাদন করা যায়। উপযুক্ত অঞ্চলে কাজুবাদাম চাষাবাদের উদ্দেশে ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অন্যদিকে চিরসবুজ রাম্বুটান গাছ ১২ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। রাম্বুটান গাছ পুরুষ ও স্ত্রী দুই ধরনের হয়ে থাকে। পুরুষ রাম্বুটান গাছে ফুল হয় না। অন্যদিকে স্ত্রী রাম্বুটান গাছে প্রচুর স্ত্রী ফুলের পাশাপাশি কিছুসংখ্যক পুরুষ ফুল দেখা যায়, যা পরাগায়নে সহায়তা করে এবং পরবর্তী সময়ে ফল আসে। ফলের আকার গোলাকার থেকে ডিম্বাকৃতি হতে পারে। ফলের খোসার রং লাল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমলা বা হলুদও হতে পারে। ফলের খাদ্যোপযোগী অংশের রং সাদা। গড় ওজন ২৭ দশমিক ৫৪ গ্রাম। গাছে ফুল আসে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এবং সেপ্টেম্বর মাসে ফল পরিপক্ব হয়। পাকা ফল উজ্জ্বল লাল, কমলা ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। বর্ষাকালে জুলাই থেকে আগস্ট মাসে এ ফল পাকে। পরিণত হওয়ার ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে পাকা ফল সংগ্রহ করার উপযোগী হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া রাম্বুটান চাষের জন্য উপযোগী। দেশের দক্ষিণাঞ্চ ও পার্বত্য জেলাসহ ঢাকা, খুলনা, যশোর জেলায় এ ফলের চাষাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই এই ফল চাষ করা যায়। রাম্বুটান চাষেও নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংক।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11353 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।