• গবেষণা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা

    ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে

    বিবিএনিউজ.নেট | ৩০ জুলাই ২০১৯ | ১২:৩১ পিএম

    ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে
    apps

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন ইনহ্যান্সিং ইফিশিয়েন্সি অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল সিস্টেমস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশপাশি ব্যাংকারদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে হবে।

    রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে সোমবার আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।

    এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিতুর রহমান।

    কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন, বিআইবিএমের প্রভাষক রাহাত বানু, আল-আরাফাহ ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন এফসিএ।
    কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, ব্যাংকিংকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক হলে পরিদর্শন কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শাখা পর্যায় পর্যন্ত নজরদারি অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই ব্যাংকিং অটোমেশনের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে।


    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের গবেষণা ব্যাংকিং সেক্টরের নীতি নির্ধারণে ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। আমি আশাকরি, আজকের বিষয়টির ওপর সবার অভিজ্ঞতা, ধারণা বিনিময় হবে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের নীতিনির্ধারনের ক্ষেত্রে গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

    বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, সুশাসনের মাধ্যমে আইসিসি এবং আইটিকে ঠিক রাখতে হবে। এতে ব্যাংকিং পেশা আরও ফলপ্রসূ হবে। ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংককর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

    অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিংয়ে আইটিকে আলাদা কোনো বিভাগ বা উইং বলার সুযোগ নেই। সহসাই আইটি ব্যাংকিং খাতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ব্যাংকিং ব্যবসায় এর প্রয়োগ সুদূরপ্রসারী। আইটি ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে। আইসিসির দুর্বলতা ব্যাংকের অনেক অনিয়মের জন্ম দেয়। আইসিসিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ প্রয়োজন এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা দরকার। এছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আইটি খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন।

    অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শুধু আইটি লোকজনের দক্ষতা থাকলে হবে না। সবার আইটি সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে ব্যাংকিং খাতের প্রসারণ হবে না।
    মো. মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এতে ব্যাংকিং খাত আরো এগিয়ে যাবে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:৩১ পিএম | মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    December 2023
    S S M T W T F
     1
    2345678
    9101112131415
    16171819202122
    23242526272829
    3031  
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি