• বিজিআইসি’র এজিএমে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

    নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ৬:৩১ অপরাহ্ণ

    বিজিআইসি’র এজিএমে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
    apps

    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন-লাইফ বীমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিআইসি) ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান তওহিদ সামাদ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম ভূঁইয়া, পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মনোনীত পরিচালক অরুণাংশ দত্ত, মোহাম্মদ মনজুর মাহমুদ, কায়সার ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোস্তফা জামান আব্বাসী, উপদেষ্টা এ কে আজিজুল হক চৌধুরীসহ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী মিন্টু ও কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যাক শেয়ারহোল্ডার।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ।

    বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রস প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ৮০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রায়। গ্রস প্রিমিয়ামের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানের নিট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা গত বছর থেকে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেশি। গত বছর নিট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। দাবি পরিশোধ বিগত বছরের তুলনায় কমেছে। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার দাবি পরিশোধ করেছে, যা গত বছর থেকে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা কম। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি দাবি পরিশোধ করেছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালে ছিল ১৭০ কোটি ৬২ লাখ টাকা প্রায়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালে ছিল ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এছাড়া, অবলিখন মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বিনিয়োগ ও অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ১৩ কোটি ০৮ লাখ টাকা। শেয়ারহোল্ডারর্স ইকুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিদায়ী বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। এছাড়া, গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ১৭ পয়সা। যা ২০২১ সালে ছিল ১৯ টাকা ৬৩ পয়সা।


    তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতামূলক এ বাজারে আমরা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারিনি। তবে আমরা আশাবাদী আগামীতে উল্লেখযোগ্য হারে ব্যবসা করতে পারবো যদি বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করা যায়। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ ও বীমা শিল্পকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বীমা খাতকে নন ট্যারিফ মার্কেট করা প্রয়োজন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বীমা খাত যদি নন ট্যারিফ মার্কেটের আওতায় আসে এবং সেই সাথে বীমা নীতির পরিবর্তন ও সংযোজন করা হয় তাহলে দেশের বীমা খাত জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। পরিশেষে তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা ব্যবসা করে এসেছি, ব্যবসা করছি, আগামীতেও ব্যবসা করে যাবো। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বিজিআইসি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন আগামীতে আমরা আপনাদের সহযোগিতায় কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো। পরে তিনি শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

    বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২২তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র ও লাভ লোকসান হিসাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাসহ উক্ত বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এছাড়া, ২০২২ সালের জন্য অডিটর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও কমপ্লায়েন্স অডিটর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের পুনঃনিয়োগ অনুমোদন করা হয়।

    সবশেষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তওহিদ সামাদ ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিতির জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেন, ইতিমধ্যে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন, আলোচ্যসূচি, শেয়ারহোল্ডারদের মতামত দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়ালি মিটিং থেকে ফিজিক্যালি মিটিং করা যায় কিনা শেয়ারহোল্ডারদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কোভিডকালীন থেকে আমরা ভার্চুয়ালি সম্মেলন করে আসছি। তবে এখন আমার মনে হয় সম্মিলিতভাবে মিটিং করায় কোন সমস্যা নেই। আগামী বছর থেকে আমরা যদি সবাই সুস্থ থাকি অবশ্যই সকলের সাথে সম্মিলিতভাবে মিটিং করবো। পরে তিনি অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার বক্তব্যের জন্য সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, বিজিআইসি টিম নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। যেহেতু বিজিআইসি’র কোন ক্যাপটিভ ক্লায়েন্ট নেই সেক্ষেত্রে বিজিআইটি টিম তাদের কর্মদক্ষতা ও মার্কেটিংয়ের জোরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার মধ্যেও উত্থান পতন রয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিজিআইটি টিম কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আগামী আরো ভালো করবে এটা আমার বিশ্বাস।

     

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৬:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৩

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫
    ১৬১৭১৮১৯২০২১২২
    ২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
    ৩০  
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি