শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

রফতানি বাণিজ্যে পিপিই যোগ করতে চায় বিজিএমইএ

বিবিএনিউজ.নেট   |   সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০   |   প্রিন্ট   |   448 বার পঠিত

রফতানি বাণিজ্যে পিপিই যোগ করতে চায় বিজিএমইএ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে এখন পিপিই সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই দেশ-বিদেশে এর চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক আকারে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করতে চায় পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

এজন্য আগামী ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে রফতানিযোগ্য বিশ্বমানের পিপিই উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে সংগঠনটি। বর্তমানে বিশ্বমানের পিপিই’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ যদি শুরুতে ওই বাজার ধরতে পারে তাহলে পোশাক-শিল্প রফতানি বাণিজ্য আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বর্তমানে বিজিএমইএ কমপক্ষে ২০ হাজার পিপিই দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে। মূলত আমরা যা বানাচ্ছি প্রথম স্তরের পিপিই। কিন্তু করোনার চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের পিপিই। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বমানের ওই ধরনের পিপিই তৈরি করা। যা বিদেশে রফতানি করা যায়। আমরা ইতোমধ্যে আইএলও, ডব্লিউএইচও, ডব্লিএফপি, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, মানসম্মত পিপিই উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহায়তা চেয়েছি। তারা প্রযুক্তিগতসহ এ সেক্টরে মার্কেট তৈরিতে সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। এই প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে সম্পন্ন। তাদের সহায়তায় আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই সেক্টরকে কাঙ্খিত মাত্রায় উন্নত করতে পারব এবং চতুর্থ ধাপের পিপিই তৈরি করার মতো ক্ষমতা ও জ্ঞান অর্জন করবে আমাদের গার্মেন্টস খাত।

বিজিএমইএ সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপটি যেহেতু সত্যিই বেড়েছে। সেখানে দেশে পিপিই অভাব রয়েছে। এটি কেবল চিকিৎসক এবং নার্সদের নয়, সমস্ত হাসপাতালের কর্মীদের প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান পিপিই চাইছে। পিপিই স্থানীয়ভাবে আমাদের পোশাক উৎপাদকদের দ্বারা তৈরি হয় না।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী মানসম্মত পিপিই ফ্যাব্রিক আমদানি করতে হয় মূলত চীন থেকে। তদুপরি চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য পিপিই স্যুট তৈরি করতে হয় তবে কারখানাগুলিকে সেলাইসহ কিছু বিশেষ যন্ত্রপাতি দরকার হবে। কারখানায় জীবানুমক্ত পরিবেশও বজায় রাখতে হবে। প্রশিক্ষণও প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে কোনো কারখানার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি সময় লাগবে।

বিজিএমইএর সভাপতি জানান, বর্তমানে বিজিএমইএ’র অনেক সদস্য পিপিই পোশাক বিতরণ করছেন। আমরা কিছু পোশাক ক্রয় করে তহবিল দেয়ারও পরিকল্পনা করছি। এছাড়া ফেব্রিক কারখানাগুলো যারা বিজিএমইএর সদস্য তারাও সংহতির লক্ষণ হিসেবে কম দামে ফ্যাব্রিক বিক্রি করছে।

তবে বিজিএমইএ’র চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বমানের পিপিই তৈরি করে রফতানি করা। যা অতি দ্রুত সম্পূর্ণ করতে কাজ করছে চায় তৈরি পোশাক খাতে এ শীর্ষ সংগঠনটি।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11395 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।