নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 384 বার পঠিত
করোনার প্রভাবে রোজায় বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের আমদানি পণ্যের অনেক চালান এলেও বাজারজাত হয়নি। বন্দর, ডিপো ও চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের ঘাটে আটকা পড়ে আছে এসব পণ্য।
করোনা আতংকে পরিবহন ও শ্রমিকসংকট, বন্দরে জট ও পণ্য খালাসে যুক্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করায় বাজারজাত করতে দেরি হচ্ছে। যার কারণে দাম বেড়েছে রোজার পণ্যের।
ছোলা, মসুর, খেজুর, আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও পরিশোধিত চিনির মতো পণ্য আমদানি হয় কনটেইনারে। বন্দর সূত্র জানায়, কনটেইনারে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো পণ্য থাকলেও পরিমাণে বেশি নয়। ছোলা, খেজুরের মতো কিছু পণ্য বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে খালাস করতে হয়। বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর হিসাবে ডিপোগুলোতে ৭২ কনটেইনার ছোলা এবং ২০৬ কনটেইনার চিনি পড়ে আছে। এ ছাড়া খেজুরবাহী ছোলাও আটকে আছে। সব কার্যক্রম শেষ করে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে খালাস নিচ্ছেন।
এদিকে মটর ডাল, মসুর ডাল ও ছোলা—এই তিন ধরনের ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৯ শতাংশ। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। খেজুরের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ মুহূর্তে খাদ্যশস্য ও রোজার পণ্য খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বন্দরে, ঘাটে, সড়কে ভোগ্যপণ্য পরিবহনের কার্যক্রম যাতে সচল থাকে, তা মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।
Posted ২:০৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saimun zidne