নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 531 বার পঠিত
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেকার তরুন-তরুনী এবং প্রবাসীদেরকে ঋন দেয়ার জন্য আমানত পাচ্ছে ২ ব্যাংক। এগুলো হলো- কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এর মধ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকা আমানত দেবে সরকার। যাতে স্বল্প সুদে দেশের বেকার তরুণ-তরুণীরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন। আর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আরও ৫০০ কোটি টাকা আমানত দেবে সরকার। যাতে ঘরবাড়ি বিক্রি করে বিদেশে যেতে না হয় এবং বিদেশ থেকে ফিরলে সেখান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ আরও বাড়ানোর জন্য আরও ২ হাজার কোটি টাকা আমানত দেওয়া হবে। ২ হাজার কোটি টাকা বিশেষ আমানত দিয়ে দেবো।
‘আমাদের যুবক শ্রেণি যাতে বেকার হয়ে ঘুরে না বেড়ায় তার জন্য তারা সেখান থেকে ঋণ নিতে পারবে। নিজেরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। অথবা যৌথভাবে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে।’
প্রবাসীদের জন্য ঋণ সুবিধা বাড়াতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আমানত বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রবাসী তারা কিন্তু আমাদের রেমিটেন্স পাঠায়। তারা যেন ঘরবাড়ি বিক্রি না করে ঋণ নিয়ে বাইরে যেতে পারে, বিদেশে যেতে পারে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নামে আরেকটি বিশেষ ব্যাংক আমরা প্রতিষ্ঠা করে দেই।
‘সেই ব্যাংকে আরও টাকা দেবো। সেই ব্যাংকেও আমরা আরও অতিরিক্ত ৫শ কোটি টাকা দেবো। এর আগে সেখানে আমরা ৪শ কোটি টাকা দিয়েছি। আমরা আরও ৫শ কোটি টাকা জমা করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে এখন প্রবাসে কাজের পরিধি সীমিত হয়ে গেছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছে, অনেকে দেশে ফিরে আসছে। তারা আমার দেশের নাগরিক, তারা সেখানে কষ্ট করুক তা আমরা চাই না। ফিরে এসে এখানেও যাতে কিছু কাজ করে খেতে পারে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, শিল্পায়নে তারা যাতে সুযোগটা পায় সে জন্য তাদের ওই ব্যাংকে আরও ৫শ কোটি টাকা আমরা দিয়ে দিচ্ছি।
‘পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আছে। সেখানে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ এই কর্মসূচি নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানেও এই ব্যবস্থা করছি।’
করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে এটি হতে যাচ্ছে সরকারের ঘোষিত ১৮তম প্রণোদনা প্যাকেজ। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট এক লাখ এক হাজার ১১৭ কোটি টাকার ১৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো, যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
Posted ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan