নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 481 বার পঠিত
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে শেয়ারবাজারে লেনদেন ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে। দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ২৮ মে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩১ মে থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করার অনুমতি দেয়। লেনদেন চালুর প্রথম দিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয় । এতে বাজার সংশ্লিষ্ট সবাই ভালো বাজারের আশা করেন। কিন্তু পরের দিনই পতন ঘটে শেয়ারবাজারে, যা সপ্তাহের পরের সব কার্যদিবসও অব্যাহত থাকে। এতে সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দরপতন হয়।
এই দরপতনের কারণে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। বাজার মূলধন কমার অর্থ হলো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ওই পরিমাণ কমেছে। এবং শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার কারণে বিনিয়োগকারীদের সবার সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ লোকসান হয়েছে।
এদিকে ডিএসইর সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৫ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট কমেছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন ছিল তলানীতে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এতে গড়ে লেনদেন হয় ১৩৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে শেষ সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এতে গড়ে প্রতি কার্যদিবস লেনদন হয় ২২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে এই লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি রয়েছে। এতে দাম কমার সুযোগ না থাকায় ওসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। ফলে সার্বিকভাবে বাজারে লেনদেন কম হচ্ছে। অবশ্য এই ফ্লোর প্রাইসের কারণে বড় ধসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বাজার।
এদিকে সপ্তাহ শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে :- বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, এসপি সিরামিকস, ঢাকা ডাইং, মেঘনা সিমেন্ট, বেক্সিমকো ও এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড।
অপরদিকে সপ্তাহ শেষে দর কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে:- মার্কেন্টাইল ব্যাংক , বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিডি ওয়েল্ডিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড।
Posted ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan