বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 346 বার পঠিত
বাজারে চাল, আলু, তেল, আটা, পেঁয়াজ, ডিম, সবজি, গুঁড়োদুধসহ সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ জনগণের। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তবে শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত পণ্যের দামের খুব কম অংশ পান কৃষক। মাঝখানে পকেট ভারী হয় মধ্যস্বত্বভোগীদের। চাল, আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও ওই দামে বিক্রি হচ্ছে না কোথাও। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে সরকার। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে দেশের ৬৪ জেলায় তৈরি হচ্ছে ‘কৃষকের বাজার’। এসব বাজারে কোনো ধরনের খাজনা ছাড়াই সরাসরি কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। এমনকি কৃষকের বাড়ি থেকে বাজারে পণ্য নিয়ে আসতে পরিবহন সহায়তা দেবে সরকার। এটি করা সম্ভব হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে- এমনটাই আশা করা যায়।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, প্রথমে অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব বাজার চালু হবে। এরপর হালকা অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী রূপ পাবে এসব বাজার। উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে বাজারে নিরাপদ কৃষিপণ্য বিক্রির বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের। সিন্ডিকেট ভেঙে পাইকারি ও খুচরা দামের মধ্যে পার্থক্য কমাতে পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
সরকারের এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে, কৃষকও লাভবান হবে। এজন্য রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারিভাবে কৃষকের বাজার গড়ে তোলা দরকার। লাভের অংশ কৃষকের পকেটে গেলে উৎপাদন বাড়বে। পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে টার্গেট নিয়ে ১/২ শতাংশ সুদে কৃষককে ঋণ সুবিধা দিলে তারা আরো উৎসাহিত হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে।
তবে অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সঠিক ও সময় উপযোগী পরিকল্পনার অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। দেশের জনসংখ্যার চাহিদা অনুযায়ী কি পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন তা আগে থেকে নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেইসঙ্গে ভোক্তাদের অধিকার আদায়ে মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করা প্রয়োজন। তাহলে কৃষকরা পাবেন ন্যায্যমূল্য, ভোক্তারা পাবেন স্বস্তি।
Posted ১:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed