নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 200 বার পঠিত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০২০ ও ২০২১ সালের কার্যক্রমের ওপর তৈরি করা ১২৮ পৃষ্ঠার বার্ষিক প্রতিবেদন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে হস্তান্তর করেছেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দুদক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে এই বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক এবং দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
১২৮ পৃষ্ঠার দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), সাবরেজিস্ট্রি অফিস ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চাঞ্চল্যকর নানা অনিয়ম, অর্থলোপাটসহ নানা দুর্নীতির ৩২টি কারণ উল্লেখ করেছে।
দুদক সচিব গণমাধ্যমকে জানান, এবারের প্রতিবেদনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ১০টি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ৬টি, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ১০টি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ৬টি দুর্নীতির উৎস উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। দুর্নীতি প্রতিরোধে চারটি খাতে যথাক্রমে ৫টি, ৬টি, ১০টি ও ১৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দুদকের গত দুই বছরের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সারাদেশে দুদকের প্রাপ্ত অভিযোগ, অনুসন্ধানের জন্য বাছাই করা অভিযোগ, অভিযোগের পর মামলার সুপারিশ, মামলা দায়ের, আগের দায়ের করা মামলার তদন্তের অগ্রতি, মামলার তদন্ত শেষে বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন এবং চার্জশিট দাখিলের সংখ্যা, মামলার বিচারের আদালতে কত শতাংশ রায় দুদকের পক্ষে, আসামীদের সম্পদে বাজেয়াপ্ত সয়ক্রান্ত তথ্য রয়েছে। এছাড়া দুদকের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ, জেলা কার্যালয়ের পরিধি বাড়ানো এবং জনবল সংকটসহ আরো অনেক বিষয় রয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে গত ২০২০ সালের প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুদক। তাই এবার দুবছরের প্রতিবেদন একসঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে।
Posted ৮:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy