বিদায়ী সপ্তাহে (০৭-১১ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৫ খাতের। দর কমাতে ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে রয়েছেন। সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে থাকা খাতগুলো হলো: বিবিধ, বস্ত্র, সাধারণ বিমা, সিরামিক জীবন বিমা, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, ব্যাংক, আর্থিক, তথ্য প্রযুক্তি, সেবা ও আবাসন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ট্যানারী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সিমেন্ট ।
একই সময়ে দর বেড়েছে ৪ খাতের। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসানে রয়েছেন বিবিধ খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৪.৯০ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসানে রয়েছেন বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৪.১০ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লোকসানে রয়েছেন সাধারণ বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৩.৮০ শতাংশ।

এছাড়া, বিনিয়াগকারীরা লোকসান রয়েছেন সিরামিক খাতে ৩.১০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ২.৮০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ২.৬০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.৪০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২.১০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ১.৯০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১.৮০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ১.৬০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১.২০ শতাংশ, ট্যানারী খাতে ১.১০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাতে ০.৬০ শতাংশ।

এদিকে, বিদায়ী সপ্তাহে (০৭-১১ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০ খাতের মধ্যে চার খাতের শেয়ারদর বেড়েছে। দর বাড়াতে চার খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় রয়েছেন। সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় থাকা খাতগুলো হলো: পেপার ও প্রিন্টিং, ভ্রমণ ও অবকাশ, পাট এবং মিউচুয়াল ফান্ড।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছেন পেপার ও প্রিন্টিং খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ৩.৪০ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ১.৪০ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছেন পাট খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ০.৭০ শতাংশ।

চতুর্থ ও সবশেষ মুনাফা পেয়েছেন মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ০.৪০ শতাংশ।