বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট | 762 বার পঠিত
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কমেছে। চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে এ সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ কমেছে ৭৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর করা সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ওই সাত মাসে দেশে মোট এফডিআই এসেছে ১৭৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। মোট এফডিআই থেকে একই সময়ে বিদেশিদের অর্থ প্রত্যাবাসন বাদ দিয়ে নিট এফডিআইর হিসাব করা হয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ১০৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ কোটি ডলার। এসময়ে নিট এফডিআই বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
জানা গেছে, গত (২০১৭-১৮) অর্থবছরে দেশে নিট এফডিআই এসেছিল ২৫৮ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি ছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশের শেয়ারবাজারে নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থাৎ আলোচিত সময়ে শেয়ারবাজারে নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৭৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সংশ্লিস্টরা বলছেন, দেশের বাজারে ডলারের দাম ধারাবাহিক বাড়লেও অপরিবর্তিতই রয়েছে টাকার মান। ফলে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে এখন আগের দামে ডলার কিনতে পারছে না। ডলারের দাম আরও বাড়লে লোকসানের পরিমাণও বাড়বে। এমন শঙ্কায় শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমছে।
এদিকে বাজার স্থিতিশীল ও ডলারের দাম কমলে বিদেশিরা আবারও শেয়ারবাজারে আসবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরে চার দফা ডলারের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বছর শুরুর দিন আন্তব্যাংক রেটে ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। দুদিন পর ৩ জানুয়ারি ডলারের দাম ৫ পয়সা এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ পয়সা দাম বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি ৭ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ১২ পয়সায়। এখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা ১৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের সাত মাস শেষে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৩৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জানুয়ারি শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৬৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা দরে) ৮১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময় ছিল এক হাজার ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ঋণাত্মক রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ ঋণাত্মক কিছুটা কমেছে। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪০ কোটি ২০ লাখ ডলার।
Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed