নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 120 বার পঠিত
নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মোস্তফা কামাল খানের স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তারের দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও এই দম্পত্তির আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মো. মোস্তফা কামাল খান চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সিংআড্ডার শংকরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ খানের ছেলে।
এ বিষয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক (চাদপুর) বাদি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। দুদকের মামলা নং ০১ এবং ০২।
দুদক সূত্র বলছে, হাওয়ানুর আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ২ লাখ ৭২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন এবং ৪ লাখ ৯২হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন। তিনি ১ কোটি ২০ লাখ টাকার দায় দেনার তথ্য প্রদান করেন।
এদিকে তার সম্পদ বিবরণী যাচইকালে দুদক জানতে পারে হায়ানুর আক্তার তার জ্ঞাত-আয়ের উৎসের চেয়ে ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৩৬১ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের করেছেন।
হাওয়ানুর আক্তারের মালিকানাধীন ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীর সারুলিয়া মৌজায় ১৭৭১ নং খতিয়ানভূক্ত ৩৭২৯ দাগে ৬.৬৬ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত ৫ (পাঁচ) তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩ হাজার টাকা।
দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, এ বাড়িটির প্রকৃত ব্যয় ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮০২ টাকা।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন মোস্তফা কামালের সম্পদ বিবরণী যাচইকালে জানতে পারে ২০০২ সাল থেকে ২০১২ সাল, ১০বছরের যাচিত সময় মোস্তফা কামাল জ্ঞাত উৎস থেকে গ্রহণযোগ্য আয় করেছেন ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২২২ টাকা।
এ সময়ে তার ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৩ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ৪ লাখ ৯২ হাজার ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ এ সময়কালে মোস্তফা নিজে ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৭১টাকার বেশি সম্পদ অর্জন করেন।
এদিকে ডেমরা থানার সারুলিয়া মৌজায় ১৬৩১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৪৫ দাগে ৩ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত টিনশেড বাড়ীর সন্ধান পাওয়া গেছে। বাড়িটি পরিমাপ অন্তে নির্মাণ বায় নির্ধারণ করেন ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৩ টাকা।
Posted ৬:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy