বিদায়ী সপ্তাহে (১১-১৫ আগস্ট) প্রায় সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার পুঁজি ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার ৫১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ০.৭২ শতাংশ। একই সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। তবে সূচকের মিশ্র প্রবণতা ছিল। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০.৯৭ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৩.৮ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০.১৯ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৪.৭২ পয়েন্টে।
ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬.৬২ পয়েন্ট বা ২.১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৯.৩৫ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ১৫৪.৪৮ পয়েন্ট বা ১০.৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯১.৭৭ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টি, কমেছে ২৭৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২২৯কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ১২ লাখ ২৩ হাজার ১১৬বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৭১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার ৫১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ০.৭২ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩১.৮০ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩১.৫৬ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ১২৭.০৭ পয়েন্ট বা ১.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৫৯.০৮ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ২৩.৪৪ পয়েন্ট বা ১.৯১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৫.০২ পয়েন্ট বা ১.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ২৫২.৯৭ পয়েন্টে এবং ৮১.৮৮ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৭০ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৩২.০৮ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০টি, কমেছে ১৬৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ২ লাখ ১৩ হাজার ৮২০ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬০ কোটি ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬৫ কোটি ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ১৪১ টাকা বা ৬৩.৫১ শতাংশ।