ব্যাংক বীমা অর্থনীতি ডেস্ক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৪:২৩ অপরাহ্ণ
জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি বাংলাদেশ। বিগত ১০ বছরে দেশে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ দ্রুত নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এ অর্থনীতির বড় অন্তরায় দেশ থেকে অর্থ পাচার। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাংলাদেশ কি পারবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে? বিদেশী পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টদের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকানো না গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বাধাগ্রস্ত হবে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) তথ্যমতে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ২৩৬ কোটি ডলার অবৈধভাবে প্রবেশ করে। একই বছর দেশ থেকে ৫৯০ কোটি ডলার পাচার হয়। ২০০৫-১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পাচার হয়। বাংলাদেশের আর্থিক খাতের বাধা, সম্ভাবনা, সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইন প্রয়োগের ভূমিকা নিয়ে মঙ্গলবার বণিক বার্তা আয়োজিত ‘সাসটেইন ইকোনমিক গ্রোথ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড প্রিভেন্ট মানি লন্ডারিং’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা—
ড. মসিউর রহমান
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা
অর্থপাচার দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি সামাজিক নানা সমস্যা তৈরি করছে। ফলে দেশে সামাজিক বৈষম্যও বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা মূল্য ঘোষণায় কম-বেশি দেখিয়ে অর্থ পাচার করেন। এ বিষয়ে কাস্টমস ও এনবিআরকে কাজ করতে হবে। আমদানিকৃত পণ্যের একাধিক দেশে মূল্য যাচাই করতে হবে। এতে সহজেই অর্থ পাচার-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও বৈষম্য দূর করতে শুধু অর্থ পাচার বন্ধ করলেই হবে না। অন্যান্য নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। ঋণ প্রদানে কৃষক, জেলে, শ্রমজীবী, ছোট ব্যবসায়ী ও বড় ব্যবসায়ীভেদে আলাদা সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। কর ও ভ্যাটের নীতির ক্ষেত্রেও ব্যক্তি আয় ও অবস্থানভেদে কর নির্ধারণ করতে হবে।
আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর
বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ভৌগোলিক সুবিধা ভোগ করছে। এ সময়টা কাজে লাগাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। সরকার এ দুটো বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করেছে। দেশে অর্থ পাচারের বড় অংশই হয় ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং। খেলাপি হওয়া ঋণের অর্থ পাচারের তথ্যও রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ও এনবিআরের ট্রান্সফার প্রাইজিং সেল ইউনিট কাজ করছে। অর্থপাচার রোধে পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। হুন্ডি কমানোর জন্য জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
গিরিশ বুটানে
নির্বাহী পরিচালক, এসএএস ইনস্টিটিউট (ভারত)
২০০৪-০৫ সালে ভারত অর্থ পাচার নিয়ে দৃষ্টিপাত করে। ওই সময়ই সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করে। সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার নিয়ে ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা খুব স্বচ্ছ ধারণা রাখে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের নীতিমালাও সুস্পষ্ট। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের হাতে অর্থ আসে। এসব অর্থ ব্যাংকে যাওয়ার মাধ্যমে তারল্য সৃষ্টি করে। তবে তা কীভাবে ব্যবহার হবে আর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কমপ্লায়েন্সের বিষয়টি কেমন তা দেখতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানও অনেকটা ভারতের মতো।
মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল্ মাসুদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের একটা সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনীতি বড় হলে অর্থপাচার হবেই। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। মানি লন্ডারিংয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মানহানির একটা বিষয় রয়েছে। সুইজারল্যান্ড, কানাডার মতো দেশে আমাদের অর্থপাচার হয়। তবে এসব দেশ থেকেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। সম্মান ও সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে আমাদের প্রত্যেককে এ ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকেও এক্ষেত্রে আরো সক্রিয় হতে হবে।
কামাল কাদির
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিকাশ
আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের প্রতিবেদন এলেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তা হচ্ছে না। অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই আমরা প্রত্যেক গ্রাহকের কেওয়াইসি নিয়ে থাকি। আমাদের ৯৯ ভাগ অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের এনআইডির তথ্য নিয়ে খোলা হয়। বাকিগুলো পাসপোর্ট থেকে। বিকাশের প্রতিটি লেনদেনের তথ্য আমাদের কাছে রেকর্ড থাকে। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আমাদের দৈনিক গড় লেনদেন ৯ হাজার টাকা। কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে ৫-১০ হাজার টাকা লেনদেন হলেই আমরা ওই গ্রাহকের এনআইডিসহ সব কেওয়াইসি পর্যালোচনা করি।
ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগের। একদিকে আমাদের দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসছে। অন্যদিকে আমাদের দেশ থেকে অর্থপাচার হচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও লেনদেন পদ্ধতির পরিবর্তন হয়নি। লেনদেন পদ্ধতিটা ডিজিটাল হলেই অর্থ পাচার কমে যাবে। ডিজিটাল লেনদেন বাড়াতে নগদ লেনদেনের একটা পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। বিদেশে ট্রেড বেইজ লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে করা যাবে না। ব্যাংকের এলসি ও কাগজপত্র ছাড়া একটি অর্থও ছাড় হবে না, এমনটি নিশ্চিত করতে হবে।
সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি করা হলেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ পাচারের খবর পাওয়া যায়। তবে তারা বেশ কমপ্লায়েন্ট। তার পরও গ্রাহকদের লেনদেনের সীমা ও হিসাব খোলার ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কিছু শর্তারোপ করেছে। পাচার রোধে বিএফআইইউকে আরো শক্তিশালী কিছু করতে হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন ছাড়া ৫০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রেমিট্যান্স লিমিট করা যায়। এর বেশি হলে টাকার উৎস জানা দরকার। মালয়েশিয়ায় ২০০ ডলারের বেশি হলেই প্রশ্ন করা হয়।
মাসরুর আরেফিন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড
আমাদের দেশ থেকে যত অর্থ পাচার হয়, তার বড় অংশই ট্রেড বেইজড। মূল্য ঘোষণায় কাস্টমসকে ভুল তথ্য দিয়ে এসব ট্রেড বেইজ মানি লন্ডারিং হচ্ছে। ব্যাংকাররা এলসি খোলার সময় কেওয়াইসি করতে এনআইডি চেক করতে গেলে অনেক সময়ই পায় না। আমাদের দেশে একটি সুনির্দিষ্ট ডাটাবেইজের খুব অভাব। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে নগদ লেনদেন কমিয়ে আনতে হবে। অনেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে লেনদেন করছে। ডিজিটাল লেনদেন হলেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এতে মানি লন্ডারিং কমে যাবে। যেসব ব্যক্তি ঋণ নিয়ে অর্থ পাচারের মাধ্যমে খেলাপি হয়েছেন, তাদের বিদেশে যাওয়া ও বাইরে অবস্থান বন্ধ করতে হবে।
মো. মেহমুদ হোসেন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ব্যাংকি কার্যক্রমও বাড়ছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বাড়াচ্ছি। এসব এজেন্টের মাধ্যমেই দেশে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে। ব্যাংকের এ ধরনের সাধারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে, এমন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। অর্থ পাচারের যত অভিযোগ দেখছি, তার অধিকাংশই ট্রেড বেইজড। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআরকে এ বিষয়টিতে নজর দিতে হবে।
কাজী ওসমান আলী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের বড় অংশই আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্যের দাম কম-বেশি দেখিয়ে বিদেশে এসব অর্থ পাচার করে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ বিভাগ ও এনবিআর এ বিষয়ে কাজ করলে অর্থ পাচার অনেকটাই কমে যাবে। বণিক বার্তার আজকের আয়োজন দেশ থেকে অর্থপাচার রোধে ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের আয়োজন আমাদের সমৃদ্ধ করে।
মো. এহসান খসরু
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড
বর্তমানে খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর অধিকাংশই পাচার হয়েছে বলে আমরা জানি। এসব টাকাসহ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয়। তবে এসব সুফল সবাই পাচ্ছে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে সবাইকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশে আর্থিক কাঠামো অনেক বড় হলেও এখনো বিরাট জনশক্তি ব্যাংকিং সেবার বাইরে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মধ্যে দুই কোটি যুক্ত হয়েছে। সঞ্চয়পত্রে এখন বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে উল্লেখ করে এখানেও কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি।
দেব দুলাল রায়
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থপাচার রোধে বিআইএফইউ কাজ শুরুর পর আমরা দৃশ্যমান সফলতা পেয়েছি। অর্থপাচার প্রতিরোধে অর্থ প্লেস করার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। প্রথমেই প্রত্যেক হিসাবের বিপরীতে কেওয়াইসি নিশ্চিত করতে হবে। কেওয়াইসি নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেইজটি শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের হিসাব চেক করতে গিয়ে অনেক সময়ই এনআইডি-সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে। এ বিষয়টি সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রে টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রেও কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করার কথা বলেন তিনি।
মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম
চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, বিকাশ
মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তবে এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের প্রতিটি লেনদেনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করা যায় না। একবারে ১০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হয় না। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫-১০ হাজার টাকা লেনদেন হলেই ওই অ্যাকাউন্ট আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকে। একটু সতর্ক থাকলেই মোবাইল ব্যাংকিং থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া বা পাচার সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে টিভিসি দেয়া হচ্ছে।
বাসাব পি বাগচী
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড
বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অবকাঠামোসহ আর্থিক দিক থেকে অনেক এগিয়েছে। অর্থপাচারের কিছু ঘটনা থাকলেও পলিসিগত বিষয়ের কারণে হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবসা শুরু করে ওই অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাদের কারণে আমরা যারা এখন ব্যবসা করছি, তাদের বদনাম শুনতে হয়। এলসি খোলা বা ব্যাংকঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে কথা শুনতে হয়। আমরা আশা করব, ঋণ প্রদান ও প্রতিষ্ঠান দেখে পলিসি নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে।
তাহের আহমেদ চৌধুরী
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনীর কারণে ব্যাংকগুলোর আয়ের অনেক পথ তৈরি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সেবার আটটি চ্যানেল রয়েছে। এর প্রত্যেকটিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে ব্যাংক। এর মাধ্যমে ব্যাংকের মুনাফা নিয়ে ঝুঁকি কমে গেলেও প্রযুক্তিগত ঝুঁকি রয়েছে। এ বিষয়টি মোকাবেলায় ইসলামী ব্যাংকের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের সব স্তরের তথ্য-উপাত্ত খুবই নিরাপত্তাবেষ্টিত।
রাধা কৃষ্ণ
পরিচালক, এসএএস ইনস্টিটিউট (ভারত)
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অর্থ পাচারের বিষয়টি পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত। আমদানি-রফতানি বাড়লে অর্থ পাচারও বাড়ে। তবে অর্থকে ভোগের জায়গা তৈরি করতে হবে। টাকা দেশে রাখার জন্য চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো হলো অর্থ ব্যবহারের পথ তৈরি, ডিজিটাল চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ, অর্থের গতি ঠিক রাখা এবং সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দেয়া। ভারতে প্রধানত সরকারি-বেসরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ পাচার বেশি হয়। দ্বিতীয়ত ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং হয়ে থাকে। মূলত ভোগের সঠিক সুবিধা না থাকায় এগুলো হচ্ছে।
-সূত্র: বণিক বার্তা
বাংলাদেশ সময়: ৪:২৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed