| রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 51 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে বেক্সিমকোসহ ৬ কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারে দেওয়া নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। ওই নির্দেশনা অনুসারে, আলোচিত ৬ কোম্পানির মধ্যে তিনটির ফ্লোর আজ রোববারই ওঠে যাওয়ার কথা ছিল। অন্য তিন কোম্পানির ফ্লোর আগামী ১৪ আগস্ট, বুধবার উঠার কথা।
কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ। বিএসইসি ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জ পরস্পর আলোচনা করেই আলোচিত নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ৮ আগস্টের (বৃহস্পতিবার) তারিখে স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশনা অনুসারে, আজ বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপর থেকে ফ্লোর ওঠে যাওয়ার কথা। আর আগামী ১৪ আগস্ট ফ্লোর উঠার কথা বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ফ্লোর।
কিন্তু শেষ মূহুর্তে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ শিবলী রুবাইতের স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করেনি।
সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত নির্দেশনাটি বিএসইসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের একক কর্তৃত্বে জারি করা হয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও শিবলী রুবাইয়াত তা করেননি। এমন কি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে শিবলী রুবাইয়াত অফিসেও আসেননি কোনোদিন। যে তারিখে (৮ আগস্ট) ওই নির্দেশনাটি জারি দেখানো হয়েছে, সেদিনও তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সংশ্লিষ্টরা পদত্যাগের দু’দিন আগে কমিশনের কারো সঙ্গে আলোচনা না করে অনেকটা গায়ের জোরে জারি করা শিবলীর ওই নির্দেশনাকে উদ্দেশ্যমূলক মনে করছেন। বিশেষ করে বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেড ফ্লোর প্রত্যাহারের তালিকায় থাকায় সন্দেহ আরও বেড়ে গেছে। গত ১৫ বছরে সালমান এফ রহমান নানা কৌশলে পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছেন। সর্বশেষ তিন বছরে বেক্সিমকোর শেয়ার নিয়ে কারসাজি, সুকুক ইস্যু করে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন, পরবর্তীতে আরও দুটি বন্ড ইস্যু করে ৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা উত্তোলনে বিএসইসির ওই চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের প্রশ্রয় ও সহযোগিতা ছিল।
জানা গেছে, সালমান এফ রহমান বেশ কিছু ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে বেনামে বেক্সিমকোর বিপুল সংখ্যক শেয়ার কিনে রেখেছেন। হঠাৎ ফ্লোর তুলে দেওয়া হলে যে কোনো দামে ওই শেয়ার বিক্রি করে সব টাকা বিদেশে পাচার করে দেওয়া হতে পারে। তাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করে ফ্লোর প্রত্যাহার সমীচীন হবে না বলে মনে করছে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ।
Posted ২:১৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy