বিবিএ নিউজ.নেট | বুধবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 176 বার পঠিত
বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৩ কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। এদের অধিকাংশই ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পদাবনতি কার্যকর হবে।
অর্থাৎ গত ২ বছরে তারা অতিরিক্ত যে সব বেতন-ভাতা নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে ২৩ জানুয়ারি চিঠি ইস্যু করে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এ বিষয়ে ফারইস্টের চেয়ারম্যান ড. রহমত উল্লাহ বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। আমরা একটি কমিটি করে নিয়মের মধ্যে এনেছি। আগে উনারা যেসব বেতন-ভাতা নিয়েছিলেন, তা সমন্বয় করা হবে। তিনি বলেন, পদাবনতি মানে এই নয় যে উনারা এ অবস্থানে থাকবেন। ইতোমধ্যে অনেকের ৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাদের মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ আমরা একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই।
অন্যদের মধ্যে মাজেদুল ইসলামকে এএমডি থেকে পদাবনতি করে এসইভিপি করা হয়েছে। কামাল আহমেদ হাওলাদারকে এসইভিপি থেকে জেইভিপি, শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে এসইভিপি থেকে এসভিপি, মো. ফিরোজ শাহ আলমকে ইভিপি থেকে এসইভিপি, মো. নজরুল ইসলামকে ইভিপি থেকে এসভিপি, মাহমুদুল হাসানকে ইভিপি থেকে এফএভিপি, মো. আমিরুজ্জামানকে জেইভিপি থেকে এসভিপি, মো. শাহ আলমকে এসভিপি থেকে জেএসভিপি, মো. শহিদুল আলমকে এসভিপি থেকে ভিপি করা হয়েছে। এদিকে মামুনুর রশিদকে এসভিপি থেকে ভিপি, শাহাদত হোসেন হাজারিকে এসভিপি থেকে জেএসভিপি, মাহমুদ হাসানকে জেএসভিপি থেকে জেভিপি, মো. ইলিয়াসুর রহমানকে জেভিপি থেকে এভিপি, মো. নূরে আলম আল কায়সারকে ভিপি থেকে জেভিপি, মো. আজহারুল ইসলামকে ভিপি থেকে এভিপি করা হয়েছে। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে পদাবনতি প্রাপ্তদের মধ্যে ওসমান গণি এভিপি থেকে এসও, ফারহানা ইয়াসমিনকে এভিপি থেকে এসও, অনামিকা ইসলামকে এভিপি থেকে অফিসার, মো. মাসুম হোসাইনকে এফএভিপি থেকে এসইও, মো. নূরে আলম মিয়াজিকে এফএভিপি থেকে এসইও এবং মো. মকবুল এলাহীকে এফএভিপি থেকে ইও করা হয়েছে।
জানা যায় বোর্ডের বেশ কয়েকজন পরিচালক পদাবনতির সঙ্গে একমত নন। তাদের যুক্তি হলো, এটি আইনসঙ্গত নয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা পদোন্নতির যোগ্য।
এদিকে ফারইস্ট লাইফের দুর্নীতির বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে বীমা খাতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ বছরে ফারইস্ট লাইফে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে।
এ সময়ে কোম্পানির লাইফ ফান্ড ও এফডিআর ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রাসাদ সমান বাড়ি ও তিনটি ব্যবসা খুলেছেন। দুটি জমি ক্রয় দেখিয়ে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু বীমার টাকা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির হাজার হাজার গ্রাহক নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এর সঙ্গে সাবেক অডিট কোম্পানির চেয়ারম্যান এমএ খালেকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইডিআরএ।
Posted ৭:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy