বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 412 বার পঠিত
করোনা ভাইরাসের মহামারী সংকটের মধ্যেই মাত্র আট মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
করোনার মধ্যেও প্রচুর রেমিট্যান্স ও বিদেশি ঋণ আসছে। রফতানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তবে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আমরা মনে করি, সঠিকভাবে এ রিজার্ভ কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত হতে পারে। এটি হতে পারে অর্থনীতির জন্য সহায়ক।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শুরুর মাস মার্চ শেষে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে একে-একে রেকর্ড হয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাতে গণমাধ্যমে জানা যায়, রির্জাভের এ অর্থ দিয়ে প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর।
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের মতো প্রবাসীরাও অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বা আয় কমেছে। এর মধ্যেও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হুন্ডির চাহিদা একেবারে কমে যাওয়া। আবার সরকারের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এর বাইরে একটা শ্রেণি জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আবার বিমান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় সঙ্গে ডলার আনার প্রবণতা কমেছে। এসব কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের বেশিরভাগই এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে। যদিও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির এ ধারা কতো দিন থাকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখন দরকার এর সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা। যার মাধ্যমে রিজার্ভ আরও বড় হতে পারে। এটি সম্ভব হলে পুরো ফায়দা পাবে দেশের অর্থনীতি। যার ধারাবাহিকতা দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন বজায় রেখে অগ্রসর হতে পারলে রিজার্ভের সুবিধা কাজে লাগানো সহজ হবে এবং অর্থনীতি গতিশীল থাকবে বলে আশা করা যায়।
Posted ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed