শনিবার ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামিমের সফলতার নেপথ্যে মাশরাফি

  |   শনিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   783 বার পঠিত

তামিমের সফলতার নেপথ্যে মাশরাফি

মাশরাফি বিন মুর্তজা কখনোই হারার আগে হার মানেন না। প্রতিটি ম্যাচ খেলতে নামার আগে মানসিক শক্তির জোর খাটিয়ে জয়ের চিন্তা করেন সব সময়। বিপিএলের পুরো মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল সফল হয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়কের দেখানো কৌশল কাজে লাগিয়েই!

শিরোপা জিতে সংবাদ সম্মেলনে আসা তামিম নিজের সাফল্যের পেছনের রহস্য জানালেন বিস্তারিত, ‘সত্যি কথা বলতে পুরো টুর্নামেন্টেই আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। তবে মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল ব্যবহার করেছিলাম। উনি সব সময় বলেন যে- আমি জিতব, আমি জিতব। ওনার মনে কী থাকে, সেটা জানি না। পুরো বিপিএলে আমার একই কৌশল ছিল। তার থেকেই অনুপ্রাণিত বলতে পারেন। এই শিরোপা জেতার পুরো কৃতিত্ব মাশরাফি ভাইয়ের।’

বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরে এসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেললেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে শিরোপা জিততে ভূমিকা রেখেছেন। অবশেষে বিপিএলের শিরোপা জিতে নির্ভার বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটসম্যান, ‘অবশ্যই নির্ভার। আমি সব সময় চেয়েছি কাপ জিততে, কিন্তু পারিনি। এমন ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়ে দলকে জেতানো বিশাল ব্যাপার। ঢাকার মতো বোলিং আক্রমণ অনেক আন্তর্জাতিক দলেও নেই। তাই এই জায়গার পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে কাজে দেবে।’

প্রথম ৯ ওভারে ঢাকার স্কোরবোর্ডে ছিলো ১০২ রান। তখনও সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, পোলার্ডরা ক্রিজে নামেননি। এই অবস্থায় যে কোন দলেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তবে তামিম জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তখনও, ‘প্রথম ছয় ওভারে ওরা যেভাবে শুরু করেছিল। ১২ ওভার পর্যন্ত প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারছিল। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে, বড় সংগ্রহের পেছনে তাড়া করতে গিয়ে ২/১ উইকেট পড়লে ম্যাচ পরিবর্তন হয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আমরা দুটো উইকেট পেয়েছি।’

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাকিব ও পোলার্ডের দারুণ দুটি ক্যাচ ধরেছেন তিনি। ‍ওই ক্যাচ ‍দুটিও ম্যাচ জিততে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তামিম, ‘আমার কাছে ক্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এসব ক্যাচ ধরা ওই মুহূর্তে খুব কঠিন। এটাও সত্যি কথা আমি হয়তো কোনো না কোনো দিন ক্যাচ মিস করবো। কোনো না কোনো দিন ভালো ক্যাচ নিবো। সব সময় চেষ্টা করি সুযোগ লুফে নিতে।’

১১ ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। তামিম নিজেও ১৪১ রানের ইনিংস খেলে ঘোরের মধ্যে আছেন এখনও, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখনও স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে আছি- কীভাবে ব্যাটিং করেছি। সত্যি কথা বলতে, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। রুমে যাবো এরপর হাইলাইটস দেখব এবং তখন হয়তো বিশ্বাস হবে। বিজয় আউট হওয়ার পর কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলাম। তবে শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। আমাকে নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। কেমন অনুভূতি-সেটা হাইলাইটস দেখলে বলতে পারবো।’

মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া তামিম শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। ম্যাচ জয়ী ইনিংসে খেলে তামিমের সবচেয়ে বড় তৃপ্তির জায়গা বাংলাদেশিরা পারফরম্যান্স করেছে বলে। তামিম স্বপ্ন দেখেন নিজের এই রেকর্ডটি এক একদিন ‍ভেঙে ফেলবে স্বদেশি কোনো তরুণ, ‘আজকের দিনের জন্য বাংলাদেশিরা পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার আর কিছু হতে পারে না। আমার ইনিংস দেখে জুনিয়ররা আমার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। তারা যদি আমাকে টপকে যেতে পারে, সেটাই হবে বাংলাদেশের জন্য ভালো ব্যাপার।’

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৫:১৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।