বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুজিবাজারে সুশাসনে বিএসইসি’র গণশুনানির যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   209 বার পঠিত

পুজিবাজারে সুশাসনে বিএসইসি’র গণশুনানির যাত্রা শুরু

পুজিবাজারে সুশাসনের জন্য বিএসইসি গণশুনানির যাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)কমিশনার আব্দুল হালিম।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিক কতটা সেবা পাচ্ছে, সেখানে তারা কতটুকু সন্তুষ্ট বা তাদের ক্ষোভ রয়েছে কিনা, এসব বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকদের গোচরে আনার জন্য এবং সুশাসনের অংশ হিসেবে পাবলিক হেয়ারিং করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি শেয়ারবাজারে সুশাসনের জন্য হেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু করেছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের সমস্যা ও সম্ভাবনা দিয়ে পাবলিক হেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামিতে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শেয়ারবাজারের অন্যান্য বিষয় নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সমস্যা ও সুবিধা শোনা হবে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, বিএসইসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নিয়ন্ত্রনের জন্য আইনের প্রয়োগ করে থাকে। এছাড়া বর্তমান কমিশন মনে করে, সুশাসনে স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের মঙ্গলের জন্যই বিএসইসি।
তিনি বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। কিন্তু আমাদের আইটি লেভেল কি সেই পর্যায়ে আছে। হয়তো ভবিষ্যতে অনেক উন্নত হবে। কিন্তু বর্তমানে কি ধরনের সমস্যা ও সুবিধা রয়েছে, তা নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আপনারা (অংশগ্রহনকারীরা) আপনাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রথমবারের মতো পাবলিক হেয়ারিং শুরু করেছি। আগামিতে এর ধারাবাহিকতা থাকবে। এই পাবলিক হেয়ারিং অর্থ যে যেই খাতে থাকে, সেই খাতে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা, তাদের কিছু জানার বিষয় আছে কিনা, তাদের কোন মতামত আছে কিনা, সেটাই তুলে ধরা। আজকে শেয়ারবাজারে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনে সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে পাবলিক হেয়ারিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন বলতে বিনিয়োগকারীর নিজের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ দাখিলকে বোঝানো হয়েছে। এই পদ্ধতিটি ডিএসইতে ২০১৬ সালের মার্চে চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ১০ শতাংশ মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়। এটি করোনাভাইরাসের মধ্যে এখন সহায়ক হয়েছে। তবে সারাবিশ্বে এই ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন বেশি হয়। স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করার কালচার ভারত ও বাংলাদেশে রয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশে দেখা যায় লেনদেন অনেক, কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজে গেলে তা বোঝার উপায় নাই।
ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনে উৎসাহিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদেরকে লেনদেন বাড়াতে হবে। আমরা যদি শেয়ারবাজারে সুশাসন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই, যেটা বর্তমান কমিশনের প্রধান লক্ষ্য, তা বাস্তবায়নে আমাদেরকে প্রযুক্তি উন্নয়নে আগাতে হবে। পুরো লেনদেনটাকে ইন্টারভিত্তিক নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কমিশনের চেয়ারম্যান ফরেন আউটলেট খোলার কথা বলেছেন। এটা করতে গেলে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনের দরকার পড়বে। এটি করতে পারলে লেনদেন অনেক বেড়ে যাবে।
পরে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট ভিত্তিক ট্রেডিং- এর সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল করিম৷ দেশব্যাপি বিনিয়োগ সচেতনতার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন৷

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।