বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 490 বার পঠিত
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর অনানুষ্ঠানিকভাবে ভাঙ্গা শুরু হয় বার্লিন প্রাচীর ৷ বার্লিন প্রাচীর পতনের ঘটনা দুই জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের পথ প্রশস্ত করে দেয় , যার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর ৷
বার্লিন প্রাচীর ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আছে পশ্চিম বার্লিন ও পূর্ব বার্লিন-এর সীমানা প্রাচীর হিসেবে ৷ যেটি পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানির একটি সীমানা ছিল। ১৩ আগস্ট ১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৮ বছর এটি পশ্চিম বার্লিন থেকে পূর্ব বার্লিন এবং পূর্ব জার্মানির অন্যান্য অংশকে পৃথক করে রেখেছিল। সরকারী হিসাব অনুযায়ী এ সময়কালে প্রাচীর টপকে পশ্চিম বার্লিন যাবার চেষ্টাকালে ১২৫ জন প্রাণ হারান। বেসরকারী হিসাবে এই সংখ্যা প্রায় ২০০। সদ্য প্রকাশিত দলিলে দেখা যায় কমিউনিস্ট সরকার পক্ষত্যাগকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল। যদিও পূর্ব জার্মান সরকার সবসময় এটা অস্বীকার করে আসছিল।ক্রমবর্ধমান শরণার্থীদের চাপ ঠেকাতে এবং কয়েক সপ্তাহের জন অসন্তোষের পর ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর পূর্ব-জার্মান সরকার পশ্চিম বার্লিনে যাবার অনুমতি দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ এই ঘোযণার সাথে সাথে হাজার-হাজার উৎসুক জনতা বারো ফুট উঁচু প্রাচীর টপকে পশ্চিম পাশে যেতে থাকে ৷ গণদাবীর মুখে সীমান্তরক্ষীরা দ্বার উন্মুক্ত করে দেয় ৷ পশ্চিমপ্রান্তে উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের স্বাগত জানানো হয় ৷ অতি উৎসাহী জনতা প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙতে শুরু করে ৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্যুভেনির সংগ্রাহকরা প্রাচীরটির বহু অংশ ভেঙ্গে ফেলে ৷ পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয় ৷ আবার এক হয়ে যায় দুই জার্মানি ৷
Posted ১:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed