বিবিএ নিউজ.নেট | শনিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 164 বার পঠিত
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিদর্শক ওসমান কবির ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সস্পদের হিসেব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে দুদকের পাঠানো ছক ও নোটিশের আলোকে স্থাবর ও অস্থাবরসহ সকল সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সম্পদ বিবরণী নোটিশ তাদেও বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র মতে, দুদকের নোটিশ দুটিতে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে আপনি (ওসমান কবির ও সুফিয়া বেগম) আপনার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনি আপনার নিজ ও আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায় দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ওসমান কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদক কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানকালে ওসমান কবির ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনেক তথ্য প্রমাণ বেরিয়ে আছে। অনুসন্ধান কাজে নেতৃত্ব দেন উপ-পরিচালক অজয় কুমার সাহা। এরপর কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে কমিশন ওসমান কবির ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দেয়। প্রাপ্ত নোটিশের পর নির্ধিারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিল করতে হবে। কিন্তু সম্পদের বিবরণী দাখিল না করলে, নোটিশ প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইন ২৬ (২) ধারায় নন সাবমিশনের অভিযোগে মামলা দায়ের হতে পারে। আবার সম্পদের বিবরণীদের তথ্য গোপন করা, মিথ্যে তথ্য প্রদান এবং অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
Posted ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy