বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 313 বার পঠিত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার ভবন মালিক। এসব বাবদ সংস্থাটি প্রতি বছর গড়ে আয় করে প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকা। কিন্তু সর্বশেষ আর্থিক বছরে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে সংস্থাটির। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ে মাঠে নেমেছে ডিএনসিসি।
যার ফলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির জোন-৫ (কারওয়ান বাজার) ও জোন-২-এ (মিরপুর) চিরুনি অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ওই দুই অঞ্চলে মোট ১০ হাজার ৩৯৯টি হোল্ডিং পরিদর্শন করা হয়। এ সময় হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিহীন পেয়েছে ৭৩৪টি, আর সম্প্রসারিত হোল্ডিং পেয়েছে এক হাজার ৬৬৪টি।
অন্যদিকে ডিএনসিসি বছরে দুই কোটি টাকা আয় হতো না সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, শপ সাইন, ব্যানার, ফেস্টুন থেকে। এ আয় বাড়াতে সম্প্রতি গুলশান, বনানী, প্রগতিসরণিসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান শুরুর পর পাঁচ কর্মদিবসেই সংস্থাটির আয় হয়েছে তিন কোটি টাকা।
ডিএনসিসির চলমান অভিযান দেখে অন্যান্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান তাদের অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন বৈধ করতে উদ্যোগী হয়। ফলে পাঁচ কর্মদিবসে তাদের বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, শপ সাইন বৈধ করতে শুরু হয় পে অর্ডার জমার কার্যক্রম। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট সাইনবোর্ডের জন্য ট্যাক্স ১০০ টাকা, আর আলোকিত হলে ১৫০ টাকা। এছাড়া অবৈধ বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড অপসারণের অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ এর বেশি অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আইন এবং নীতিমালার বাইরে ডিএনসিসিতে কেউ কিছু করতে পারবেন না। যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের পারমিশন নিতে হবে। সবকিছুরই আইন আছে, নীতিমালা আছে। কিন্তু আমরা দেখছি কেউ কোনো ধরনের আইন-নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সাইনবোর্ড, শপ সাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। অভিযানের সময় সবাই বলে, আমরা জানি না। কিন্তু আপনি যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে পারবেন না।
Posted ৩:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed