বিবিএ নিউজ.নেট | বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 160 বার পঠিত
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ একটুও বাড়িয়ে দেখানো হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক নন-লিকুইড সম্পদ বিবেচনায় নিয়ে রিজার্ভ বেশি দেখাচ্ছে-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এমন পর্যবেক্ষণ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কয়েক দিন আগে সংস্থাটিকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত রীতি মেনে দীর্ঘদিন ধরে একই পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজার্ভ বেশি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) যোগান দেয়া ৬ বিলিয়ন ডলার ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ৬৪ কোটি ডলারকে নন-লিকুইড সম্পদ মনে করে আইএমএফ। যে কারণে এই সম্পদ রিজার্ভের হিসাবে ধরা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সংস্থাটি। গত জুন ভিত্তিক প্রতিবেদনের ওপর ওই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিলো ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, রিজার্ভের নিট ও গ্রস আলাদা হিসাব হয়। নিট হিসাব থেকে ইডিএফ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ বাদ যায়। আর ১৯৮৯ সাল থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে যোগান দেওয়া অর্থ রিজার্ভের গ্রস হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এই পদ্ধতি নিয়ে আইএমএফ বা অন্য কোনো সংস্থা এতোদিন প্রশ্ন তোলেনি। এছাড়া করোনার কারণে অন্যসব দেশের মতো অর্থনীতিকে সহায়তার জন্য ইডিএফ তহবিলের আকার বাড়ানো হয়েছে।
গতবছরের এপ্রিলের পর ইডিএফে নতুন করে যোগান দেওয়া হয় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণে অনেক আগ থেকে এই উপায়ে রিজার্ভের হিসাব করা হচ্ছে। হঠাৎ করে কেন তারা এমন পর্যবেক্ষণ দিলো সেটা পরিষ্কার নয়। তাদের পর্যবেক্ষণের জবাব দেওয়া হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইডিএফ ও সরকারি প্রকল্পের অর্থায়ন রিজার্ভের গ্রস হিসাবে দেখানো না গেলে আইএমএফের এসডিআরে বরাদ্দ অর্থও তো এখানে দেখানো যাবে না। কাজেই তাদের পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়।’
আইএমএফ অযথাই রিজার্ভ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে অনাকাক্সিক্ষত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষা মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদনে আইএমএফ বিদেশি সম্পদের ভুল শ্রেণিকরণ চিহ্নিত করেছে। এই ভুল শ্রেণিকরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের আকার বড় হয়েছে বলে দাবি করেছে আইএমএফ।
আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আসলে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে রিজার্ভ হবে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে বলেছিল আইএমএফ।
ওই পর্যবেক্ষণের আনুষ্ঠানিক জবাব আইএমএফকে চিঠির মাধ্যমে দেয়া হয়েছে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।
Posted ১:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |