বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 340 বার পঠিত
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতুর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সড়কপথ ও রেলপথে যোগাযোগের সময় চার ঘণ্টা কমে যাবে। এতে মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠবে।
সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর আগে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছিলেন, এই সেতু হলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে বর্তমানে মনে হচ্ছে, অর্থনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির হার এর চেয়েও বেশি হতে পারে। সেতু হলে স্বাভাবিকভাবে নদীর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, সম্প্রসারিত হবে বাজার। এতোদিন সেখানে কৃষিপণ্যের বাজার ছোট ছিল, এখন সেই বাজার বড় হবে। কৃষকরা ঢাকায় ফসল পাঠাতে পারবেন। ধারণা করা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আয় অনেক বেড়ে যাবে।
সেতুর প্রভাবে মোংলাবন্দর গতিশীল হবে বলে আশা করা যায়। এতোদিন এ বন্দর তেমন একটা ব্যবহৃত হতো না। এখন যোগাযোগ গতি ফিরলে এ বন্দরের ব্যবহার বাড়বে। এছাড়া পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে। সেতুর মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এ দুই বন্দরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
যোগাযোগ উন্নত হলে স্বাভাবিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন শিল্পায়ন হবে। অনেক মানুষ কাজ পাবে। বেকারত্ব কমবে, কমবে মানুষের ঢাকায় আসার প্রবণতা। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে শিক্ষার বিস্তারও সম্ভব হবে। যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না বা কম, সেখানে বিদ্যালয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সময় ও অর্থের কারণে যারা এতোদিন ঢাকাসহ বড় শহরে পড়াশোনা করতে আসতে পারতেন না, তারা এখন আসতে পারবেন। এর ফলে এক্ষেত্রেও সম্ভাবনা বাড়বে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এ সম্ভাবনা কতটা কাজে লাগানো যাবে। আমাদের প্রস্তুতি আসলে কতটুকু, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। যদি সঠিক পরিকল্পনা করে প্রতিটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যায়, তাহলে শুধু ওই অঞ্চলের মানুষই নয়, গোটা অর্থনীতি লাভবান হবে। তাই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকে পরিকল্পনা করে এগোনো প্রয়োজন।
Posted ২:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed