সৌদি খেজুরসহ নতুন চার ফসলে কৃষি ঋণ দেয়ার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের কৃষি-পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বর্ণিত শস্য, ফসল, ফল-ফুল ইত্যাদির সঙ্গে সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফি চাষ অন্তর্ভুক্ত হবে।

সৌদি খেজুর চাষে বাগান পরিচর্যার জন্য একর প্রতি ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৪০০ টাকার ঋণ পাবেন একজন কৃষক। ভিয়েতনামি নারিকেল উৎপাদনে একজন কৃষককে চার লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হবে। এছাড়া সুইট কর্ণ চাষে একর প্রতি ৬৬ হাজার টাকা এবং কফি চাষ করার জন্য একরে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হবে প্রতি কৃষককে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল ও কফি চাষের জন্য সারা বছর ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। তবে সুইট কর্ণে ঋণ দেয়া হবে ১৫ নভেম্বর-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা ফসল সংগ্রহের পর থেকেই শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে মধ্যে সরকারি খাতের ব্যাংক ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা ও বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করবে।

গত অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয়ার পর গত এপ্রিলে কৃষি খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে হর্টিকালচার, ফুল, ফল, মৎস্য, পোলট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ খাতে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়।

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদের প্রণোদনার ঋণ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার কৃষি খাতের জন্য আরও তিন হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

এই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য ও ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ঋণের সুদের হার আগের মতো ৪ শতাংশই থাকছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের এই তহবিলের অর্থও বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব উৎস থেকে সরবরাহ করবে। তহবিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।