শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   78 বার পঠিত

১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আরও এক কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এনএনজি), সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানিসহ ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ২৮৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩য় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ সভা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল।

ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৪টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ২৮৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩২ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট হতে (২০২৩ সালের ২য়) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২০টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেইআরএ কোং. ইনকরপোরেশন, জাপান এর থেকে এই এলএনজি সংগ্রহ করা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩১২ টাকা।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)-এর জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ডিএপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২০ হাজার মে.টন (+১০%) ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে। ২টি দরপত্রই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা) ২০ হাজার মে.টন ফসফরিক এসিড সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৯ কোটি ৪৯ লক্ষ ৮০ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি মে.টন ফসফরিক এসিড এর দাম ৫৫৯.৫০ মার্কিন ডলার।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, সভায় চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল)-এর জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) রক ফসফেট (৭২% বিপিএল মিনিমাম) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল রক ফসফেট বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ২৫ হাজার মে.টন (+১০%) রক ফসফেট আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপত্র জমা পড়ে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: মেসার্স উইলসন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং, মালয়েশিয়া) থেকে ২৫ হাজার মে.টন রক ফসফেট সংগ্রহ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৮২ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৮ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৮ টাকা। প্রতি মে.টন রক ফসফেট এর দাম ৩২৯.৮৫ মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠি জেলার খয়রাবাদ নদীর ওপর ৭৩০ মিটার ব্রিজ নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে ৪টি প্রস্তাব রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এম এম বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং মেসার্স পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার ৮২ টাকা।

সভায় এজেন্ডায় ৪টি প্রস্তাব ছিল। এর বাইরে টেবিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৪.৫০ টাকা। এতে ব্যয় হবে ১৯১ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড এই সয়াবিন সরবরাহ করবে।

এছাড়া ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে তুরস্ক থেকে মসুর ডাল আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৮৫৮ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৭৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11187 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।