বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট | 417 বার পঠিত
এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে এনভয় টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ১ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ টাকা ১ পয়সা।
আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত সামারাই কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ নভেম্বর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় এনভয় টেক্সটাইলস। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৭ হিসাব বছরে ৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিনের পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৭১ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ টাকা ২ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ, সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শাহীন গলফ ক্লাব কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ নভেম্বর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ওয়েস্টার্ন মেরিন। সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ফোর’। ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে রহিম টেক্সটাইল মিলসের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৭১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪০ টাকা ৯১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলশান-১-এ অবস্থিত স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় রহিম টেক্সটাইল। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
বিএসসি:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে বিএসসির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮২ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৩ টাকা ৬১ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা, সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৪২ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় বিএসসি। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ স্টক ও ২০১৫ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে নর্দার্ন জুটের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৩ টাকা ২৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৭ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৩৩ পয়সা, ২০১৮ হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৭ টাকা ৪ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া কনভেনশন হলে কোম্পানির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ৫ নভেম্বর।
লোকসানের কারণে ২০১৮ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি পাট খাতের স্বল্পমূলধনি কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ হারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ ও ২০১৫ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে অন্য শেয়ারহোল্ডাররা (আইসিবি ব্যতীত)। এছাড়া সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পাবেন।
আগামী ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানিটির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯৩ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭ টাকা ১১ পয়সা।
ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ফারইস্ট নিটিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফারইস্ট নিটিংয়ের ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৪৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ, সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের চন্দ্রায় কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ নভেম্বর।
এদিকে ফারইস্ট স্পিনিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোম্পানিটির ব্যবসার প্রসার ঘটবে বলে কোম্পানিটি আশা করছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ফারইস্ট নিটিং।
নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড:
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে নূরানী ডায়িংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় চিটাগং বোট ক্লাবে কোম্পানিটির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
সমাপ্ত হিসাব বছরে নূরানী ডায়িংয়ের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ ও ১১ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় নূরানী ডায়িং। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড:
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স। এতে কোম্পানিটির শেয়ারকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮ টাকা ১৩ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ১৭ টাকা ৭২ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৬ পয়সা।
রাইট শেয়ার
ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড:
প্রস্তাবিত রাইট শেয়ারের প্রিমিয়াম কমিয়েছে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ টাকা প্রিমিয়ামের সুপারিশ করলেও বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা ৫ টাকা প্রিমিয়াম নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছেন।
গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ২০ টাকা দরে ১আর: ১ অনুপাতে (বিদ্যমান প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি) রাইট শেয়ার ইস্যুর সুপারিশ করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এক্ষেত্রে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ধরা হয় ১০ টাকা। তবে ইজিএমে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ১০ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা প্রিমিয়াম ধরে রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেন। এ হিসাবে প্রতিটি রাইট শেয়ারের দাম হবে ১৫ টাকা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল পলিমার। এ বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বিও অ্যাকাউন্টে যোগ হওয়ার পরই রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে। তবে এর আগে কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন নিতে হবে।
কোম্পানির ব্যবসা ও মূলধন পরিকল্পনা
রহিমা ফুড করপোরেশন:
২০১৭ সালের নভেম্বরে ভোজ্যতেলের পরিবর্তে নারকেল তেল উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেয় রহিমা ফুড করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ। চলতি বছরের এপ্রিলে নারকেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে লেসিথিন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। নতুন করে আবারো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দেয়া ঘোষণায় কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা লেসিথিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আবারো কোকোনাট অয়েল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড:
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেডিএস অ্যাকসেসরিজের পরিচালনা পর্ষদ। এ কাজে প্রায় ৯১ হাজার ডলার বিনিয়োগ করবে তারা। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেডিএস অ্যাকসেসরিজ প্রায় ৯১ হাজার ডলার দিয়ে নতুন ক্রোশে ও ফ্লেক্সো প্রিন্টিং মেশিন কিনবে। মেশিনগুলো যুক্ত হলে কোম্পানিটির ইলাস্টিক ও লেবেল ইউনিটের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় চার কোটি পিসে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড:
সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ১ কোটি ৪০ লাখ সাধারণ শেয়ার কিনবে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। প্রতিটি ১০ টাকা দরে এ শেয়ার কিনবে তারা। অর্থাৎ প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজে ১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের ১৪ শতাংশ। শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন হলে সিকিউরিটিজ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের মোট ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ থাকবে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কাছে।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড:
পুরনো গ্লস্ট কিনের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় কারখানার লে-অফ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর ধরা হবে।
গত ৭ আগস্ট স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, পুরনো একটি গ্লস্ট কিন (চুল্লি) সংস্কারের কারণে তাদের কারখানা আংশিক বন্ধ থাকবে। গত ১৪ আগস্ট থেকে কোম্পানিটির কারখানার বড় একটি অংশ বন্ধ রাখা হয়। চলতি মাসের শেষ দিকেই কারখানাটির এ অংশ পুনরায় চালু হওয়ার কথা জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
বিচ হ্যাচারি লিমিটেড:
ব্যবসা বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় হোয়াইট ফিশ (তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, কৈ, সরপুঁটিজাতীয় মাছ) উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এ লক্ষ্যে উপজেলায় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০১ দশমিক ১৯ একর জমি ইজারা নিয়েছে তারা। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি ইজারা চুক্তি সম্পাদন করেছে। চুক্তির মেয়াদ হবে চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
এর আগে ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে বারামুডি, কোরাল, ইন্ডিয়ান স্যামনজাতীয় হোয়াইট ফিশ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় বিচ হ্যাচারির পর্ষদ। এক্ষেত্রে রিসার্কুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম (আরএএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে দুটি সমান ফেজে বছরে মোট ২ হাজার ৪০০ টন মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে কোম্পানিটি নরওয়েভিত্তিক অ্যাকোয়াঅপটিমা এএস ও এর স্থানীয় এজেন্ট অ্যাজাইল রিসোর্সেসের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
ইউসিবি:
৪০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। টিয়ার-ওয়ান মূলধন বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাসেল থ্রি কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ও ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি আনার জন্য ব্যাংকটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে এ বন্ড ইস্যু করা হবে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউসিবির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৬২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২৩ টাকা ৮৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইউসিবি। এ সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। #
Posted ৭:১২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed