নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 382 বার পঠিত
আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও সচিবরা এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র থেকে এই বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য এক হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পে প্রায় দুই লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এক হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পের মধ্যে বিনিযোগ প্রককল্প এক হাজার ৪৫৬টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১২৭টি এবং ডেডিসিএফ অর্থায়িত প্রকল্প একটি।
এছাড়াও স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের ৮৯টি প্রকল্পে প্রায় ৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার এডিপিও অনুমোদন করেছে এনইসি। এ নিয়ে এডিপির সর্বমোট ১ হাজার ৬৭৩টি প্রকল্পের আকার দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা প্রায়।
করোনা ভাইরাস সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) বৈঠক হয় ‘ভার্চুয়ালি’। মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গণভবন থেকে এই বৈঠকে যোগ দেন। অন্য মন্ত্রী ও সচিবরা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বৈঠকে অংশ নেন।
এবারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অর্থ বরাদ্দে সাতটি মেগা প্রকল্প সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত এসব প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ৩১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। নতুন এডিপিতে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা।
এডিপিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো হচ্ছে – পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর এবং দোহাজারী-গুনদুম ডুয়েলগেজ রেল ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানা গেছে, সার্বিকভাবে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকছে ৩১ হাজার ৭৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম কল নোটিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ২২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ২৮১ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭৫ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আসে। আর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনকে এডিপির যে সিলিং নির্ধারণ করা হয় সেটি হলো ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা আসে। ফলে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ নিশ্চিত করা যায়নি।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে চার হাজার ১৫ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে প্রস্তাব করা হচ্ছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত এডিপির তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে ৯৮৫ কোটি টাকা। এছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে চার হাজার ৩২৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য ধরা হয়েছে চার হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে প্রস্তাব করা হচ্ছে ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। ফলে বাড়ছে ৮৪৫ কোটি টাকা।
Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan